নুতন বছরের ছবি

Written by Sayedur R Chowdhury 0 comments Posted in:


ফর্কস মার্কেটের মূল পর্যবেক্ষন টাওয়ার

অ্যাসিনিবয়েন রিভার যেখানটায় মিশেছে রেড রিভারের সাথে, জায়গাটির নাম দ্য ফর্কস। লিখিত ইতিহাসে ৬০০০ বছর আগের কাহিনীও খুঁজে পাওয়া যায় স্থানটির। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সময়ের প্রথম দিকে জমজমাট ছিলো উত্তর আমেরিকার অন্যতম প্রধান ফার ট্রেড (পশম বাণিজ্য) কেন্দ্র হিসাবে। এখানেই গোড়াপত্তন ঘটে আজকের কানাডার অন্যতম বৃহৎ হাডসন বে কম্পানীর।



আধুনিক উইনিপেগে দ্য ফর্কস আর কোন বাণিজ্যকেন্দ্র নয়, এটি এখন নগরীর অন্যতম সেরা বিনোদন কেন্দ্র, মিলনস্থল। প্রতি বছরের মত এখানেই জমে যাওয়া অ্যাসিনিবয়েন রিভারের বুকে আয়োজন করা হয়েছিলো ২০০৯ সালকে বিদায়, ২০১০-কে বরণ করার অনুষ্ঠানমালা। সকাল থেকেই চলছিলো এসব অনুষ্ঠান, আমার আগ্রহ ছিলো শুধু শেষক্ষণের আতশবাজি।

তীব্র শীত উপেক্ষা করেও এবারের অনষ্ঠানে সমবেত হয়েছিলেন ত্রিশ হাজার মানুষ। দিনভর কনসার্ট, ঘোড়ায় টানা ওয়াগনে ঘোরাঘুরি,শিশুদের জন্য বরফের স্লাইড, কিশোর-কিশোরীদের জন্য আইস স্কেটিং রিঙ্ক, ফর্কস মার্কেটের রেস্তোরাগুলোয় জমজমাট খাবার-দাবার সবকিছুকে ছাপিয়ে সবার কাছেই মূল আকর্ষণ ছিলো আর্চঅ্যাঞ্জেলসের চোখ ধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী। এবারের প্রদর্শনীতে দশ হাজার বাজি পোড়ানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, আর্চঅ্যাঞ্জেলস টানা তিনবার বিশ্বসেরা আতশবাজির কারিগরের পুরস্কার পাওয়া কম্পানী।

ছবিয়াল মাত্রই জানেন আতশবাজির ভালো ছবি তোলা কঠিনতম কাজগুলোর একটি। আর তা যদি হয় মাইনাস ৪১ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়, তবে তো কথাই নেই। তিন পরতের দস্তানা পরে ক্যামেরা চালাতে পারার প্রশ্নই ওঠেনা, আবার দস্তনা ছাড়া সপ্তম মিনিটের মাথায় হাতের শিরা উপশিরার রক্ত জমাট বেধে ভয়ঙ্কর মেডিক্যাল ইমার্জেন্সীর উদ্ভব হবে। তাই ডান হাতে পাতলা একপরত উলের হাতমোজা পরে মিনিট দশেক ছবি তুলতে পেরেছি, হাতটি অসাড় হয়ে আসা পর্যন্ত। বেরসিক পূর্ণিমার চাঁদও কম ঝামেলা দেয়নি।
কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।



ফর্কস মাকেটের ভেতরে কনসার্ট


কিশোর-কিশোরীদের জন্য আইস স্কেটিং রিঙ্ক


আলোকসজ্জা


ফর্কস মার্কেটের একাংশ



শিশুদের জন্য বরফের স্লাইড



অ্যাসিনিবয়েন নদীর জমে যাওয়া বুকে আতশবাজির প্রস্তুতি, মানুষের ঢল

বাদবাকী ছবিগুলো আতশবাজি প্রদর্শণীর












ইউটিউবে আমার ভিডিও-টিও দিলাম

0 comments:

Post a Comment