এক ফোঁটা জল কতই তরল
সিক্ত করে?
এক ফোঁটা জল কতই গরল
রিক্ত করে?
এক ফোঁটা জল কতই ধবল
শুদ্ধ করে?
এক ফোঁটা জল কতই সবল
যুদ্ধ করে?
এক ফোঁটা জল কতই চপল
নৃত্য হয়ে,
এক ফোঁটা জল কতই সফল
চিত্ত জয়ে?
এক ফোটা জল শুধুই কেবল
ধুঁকতে পারে।
এক ফোঁটা জল ভীষণ অনল
রুখতে পারে?
এক ফোঁটা জল কতই মনের কথা শোনে?
এক ফোঁটা জল শুধুই কি জল চোখের কোণে?
আমাদের এক বান্ধবীর শিশুকণ্যা নেহেরীন মায়ের ফেসবুকে নিজের লেখা নিচের কবিতাটি পোস্ট করেছিলো তেরো ঘন্টা আগে -
I Hate Boys
----
I hate boys --
They make a lot of noise
Even the ones in my class
Play with toys.
They tease the girls,
And make us cry.
Most of the times they lie --
Can someone tell me why?
স্থাণুবৎ প্রস্তরসম
দেবী মূক ও মূঢ়
অপলক অবিচল
দুর্ভেদ ও গূঢ়।
আলতো করে ছুঁয়ে দিলেই
পাথর গলে জল,
এই যদিবা কঠোর হলে
পরেই টলমল।
[ এই পদ্যটিতে বাংলা বর্ণমালার ১১টি স্বরবর্ণ, ৩৯টি ব্যঞ্জনবর্ণ ও একমাত্র প্রতিবর্ণ 'ৱ' সবকটি ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। 'ৱ' প্রতিবর্ণটির উচ্চারণ 'ওয়' ]
এক.
মায়ের ঠোঁটে চোখ পেতে রই, কান পেতে রই মা কি বলে,
ডাকছে, ওরে সোনা মণি, খাবার সময় যায়রে চলে।
কোমল হাতে জড়িয়ে গলা মায়ের মুখে গল্প শুনি
দস্যি ছেলে ভুত রাক্ষস নয়তো মাসী ঘুম 'পাড়ুনি'।
চোখ বুঁজে রই শুনবো বলে ছন্দ ছড়া সকাল সাঁঝে,
বুকের ভেতর ঢাক গুড়গুড়, কথারা সব পঙ্ক্তি ভাঁজে।
'মা' বলে ঐ এক আষাঢ়ে হঠাৎ করেই মুখটি খুলি,
এমনি করেই ফুটলো আমার মায়ের ভাষায় প্রথম বুলি।
মা ভেসে যায় কথার তোড়ে, যায় ভেসে তার রাজ্যপাট,
কথারা সব ভাসিয়ে নেয় ভাতের থাল কী ধানের মাঠ।
টুংটাং টুংটাং
ফোনখানি বেজে যায়
যদি ধরো একবার
'মোরে আর কে পায়?'
কত কথা বলবার
জমিয়েছি রাতদিন
দিনগুনে মাস যায়
'হ্যায় কয় সাত দিন!'
সাত হোক পাঁচ হোক
লম্বাটা জানো কত?
হয়েছে বছর যেন
'মুই কি তোমার মত?'
তুমি নয় 'তিন পাশ'
পড়েছো বিলেতি বই
আমি বড় নই অত
'বাংলায় কতা কই।'
তাতেই হয়েছে কি?
ভালোবাসি এতো ঠিক,
মুখ্যু হয়েছি বলে
'কও মোরে, মাঙ্গো ভিখ?'
কত কথা জমে আছে
ফোনটা ধরো না বাবা!
চলে গেলে একেবারে
'হ্যাষকালে কই পাবা?'
[পদ্যটি আমার ছেলের জন্য একটু আগে লিখেছিলাম। প্রকৃতির ছোঁয়া বঞ্চিত প্রতিটি শিশু-কিশোরকে নিবেদন করলাম।]
একটা সকাল আমার ছিলো
একটা সকাল তোমারো আছে
আমার সকাল দূর্বাঘাসের
সুখের পথ মাড়িয়ে যাবার,
তোমার সকাল বদ্ধখাঁচায়
দুচোখ বেঁধে ছটফটাবার।
একটা দুপুর আমার ছিলো
একটা দুপুর তোমারো আছে
আমার দুপুর না ঘুমুনো
ঘুঘুর ডাকে স্বপ্ন বোনার,
তোমার দুপুর দুদ্দাড় সব
যন্ত্রদানোর শব্দ শোনার।
একটা বিকেল আমার ছিলো
একটা বিকেল তোমারো আছে
আমার বিকেল মাঠের পারে
হলুদ রোদে ছায়া তাড়াবার,
তোমার বিকেল মনকে বেঁধে
কোচিং ক্লাশের পথ মাড়াবার।
একটা সন্ধে আমার ছিলো
একটা সন্ধে তোমারো আছে
আমার সন্ধে পিদিম জ্বেলেই
অন্ধকারকে হটিয়ে দেবার,
তোমার সন্ধে বিজলী জ্বেলেও
মনের কালো সামলে নেবার।
একটা রাত্রি আমার ছিলো
একটা রাত্রি তোমারো আছে
আমার রাত্রি গাঢ় হতেই
ফড়িং ধরার স্বপ্ন দেখার,
তোমার রাত্রি অর্ধেকটাই
ঘুমের ঘোরে পড়া শেখার।
আমার একটা জীবন ছিলো
তোমারো একটা জীবন আছে,
আমার জীবন এইটুকুনি
হঠাৎ করেই পেরিয়ে এলাম,
তোমার জীবন আমারি ছায়া-
বলতে গিয়েও থমকে গেলাম।
काहा आके रुक ने थे रास्ते
काहा मोड़ था उसे भूल जा
वो जो मिल गया उसे याद रख
जो नही मिला उसे भूल जा
वो तेरी नसीब की बारिषे
किसी और छत पे बरस गयी
दिल-ए बेख़बर मेरे बात सुन
उसे भूल जा, उसे भूल जा
मे तो गुम था तेरे ही ध्यान मे
तेरे आस तेरे गुमान मे
हवा केह गयी मेरे कान मे
मेरे साथ आ, उसे भूल जा
चाँद किसि दिन पुछ ना बैठे
तुमसे दिलकि बात,
छात पर आ कर खत लिखति हो
किसको सारि रात?
চাঁন্দ কিসি দিন পুছ না বেয়ঠে
তুমসে দিলকি বাত,
ছাত পর আ কর খত লিখতি হো
কিসকো সারি রাত?)
চাঁদ কখনো মনের কথা
জানতে যদি চায়,
রাতের ছাদে পত্র লিখো
কাকে নিরালায়?
Copyright 2010 সাইদুর রহমান চৌধুরী
Theme designed by Lorelei Web Design
Blogger Templates by Blogger Template Place | supported by One-4-All