প্রথম পর্বঃ শক্ড অ্যাব্রোড - ০১
প্রথম পর্বের ভুমিকাঃ
জুন ১৯৯৪। জীবনের প্রথম দেশের বাইরে ভ্রমন। বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটোই অনেক কম। এখনকার মত চাইলেই দেশ-বিদেশের হাল হাকিকত জানা অত সহজ ছিলো না। যদিও আমার ইন্টারনেট ছিলো, কিন্তু তার জন্য আমাকে প্রথম দিকে হংকং, পরে ঢাকার আইএসপি-কে ডায়াল করতে হোত প্রতি মিনিট যদ্দুর মনে পড়ে যথাক্রমে ৬৫ ও ৪০ টাকা ফোনের বিল খরচ করে। তাই ই-মেল ছাড়া অন্য কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠে না।
সে রকম একটি সময়ে বিদেশ যাওয়া মানেই অনেকগুলো ধাক্কা খাওয়ার মত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হওয়া। তারই কয়েকটি সংক্ষেপে বলি।
জুন ১৯৯৪। জীবনের প্রথম দেশের বাইরে ভ্রমন। বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটোই অনেক কম। এখনকার মত চাইলেই দেশ-বিদেশের হাল হাকিকত জানা অত সহজ ছিলো না। যদিও আমার ইন্টারনেট ছিলো, কিন্তু তার জন্য আমাকে প্রথম দিকে হংকং, পরে ঢাকার আইএসপি-কে ডায়াল করতে হোত প্রতি মিনিট যদ্দুর মনে পড়ে যথাক্রমে ৬৫ ও ৪০ টাকা ফোনের বিল খরচ করে। তাই ই-মেল ছাড়া অন্য কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠে না।
সে রকম একটি সময়ে বিদেশ যাওয়া মানেই অনেকগুলো ধাক্কা খাওয়ার মত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হওয়া। তারই কয়েকটি সংক্ষেপে বলি।
সারাহ ব্রাইটম্যান একজন ইংরেজ ক্লাসিক্যাল সংগীত শিল্পী, সপ্র্যানো (উচ্চতর অকটেভে গান করেন যারা)। ইংরেজী ছাড়াও স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, জার্মান, রাশান, হিন্দী, জাপানী ও ম্যান্দারিন (চীন) ভাষায়ও গেয়ে থাকেন। গান গাওয়া ছাড়াও অভিনয়, নৃত্য ও গান লেখায়ও তাঁর প্রতিভা রয়েছে। ৩৪টি দেশে ১৬০র মত পুরস্কার জিতেছেন সারাহ। একুশ শতকের বেস্ট-সেলিং নারী ক্লাসিক্যাল সিংগার হিসাবে চিহ্নিত এই শিল্পীর রয়েছে একটি গিনেস বিশ্ব রেকর্ড। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় গান Time to say Goodbye সম্বলিত অ্যালবামটির বিক্রির জন্য এই বিশ্ব-রেকর্ড।
Time to say Goodbye মূলত একটি ইতালিয়ান গান, Con te partiro (কন তে পার্র্তিরো)। গানটি প্রথম গেয়ে জনপ্রিয় করেন ইতালিয় শিল্পী আন্দ্রেয়া বোসেলি। পরে সারাহ আর আন্দ্রেয়া জোট বেঁধে অ্যালবামের জন্য নুতন করে ডুয়েট গেয়েছেন। এরপর সারা বিশ্বে অসংখ্য ট্যুর কনসার্টে তাঁরা গানটি গেয়েছেন। ইতালিয় লিরিক ও ইংরেজী অনুবাদসহ গানটির অডিও ও ভিডিও শেয়ার করলাম এখানে।
[একটি মন্তব্যে ভিডিওটি আগে দিয়েছিলাম, পরে মনে হোল কিছু তথ্যসহ সবার জন্য দিলে মন্দ নয়]
ইতালিয়ান লিরিক Quando sono solo Sogno all'orizzonte E mancan le parole Si lo so che non c'luce In una stanza Quando manca il sole Se non ci sei tu con me, con me. Su le finestre Mostra a tutti il mio cuore Che hai acceso Chiudi dentro me La luce che Hai incontrato per strada Time to say goodbye Paesi che non ho mai Veduto e vissuto con te Adesso si li vivro. Con te partiro Su navi per mari Che io lo so No no non esistono piu It's time to say goodbye. Quando sei lontana Sogno all'orizzonte E mancan le parole E io si lo so Che sei con me con me Tu mia luna tu sei qui con me Mio sole tu sei qui con me Con me con me con me Time to say goodbye Paesi che non ho mai Veduto e vissuto con te Adesso si li vivro. Con te partiro Su navi per mari Che io lo so No no non esistono piu Con te io li rivivro. Con te partiro Su navi per mari Che io lo so No no non esistono piu Con te io li rivivro. Con te partiro Io con te. | ইংরেজী অনুবাদ When I'm alone I dream on the horizon And words fail; Yes, I know there is no light In a room Where the sun is not there If you are not with me. At the windows Show everyone my heart Which you set alight; Enclose within me The light you Encountered on the street. Time to say goodbye, To countries I never Saw and shared with you, Now, yes, I shall experience them, I'll go with you On ships across seas Which, I know, No, no, exist no longer; With you I shall experience them. When you are far away I dream on the horizon And words fail, And yes, I know That you are with me; You, my moon, are here with me, My sun, you are here with me. With me, with me, with me, Time to say goodbye, To countries I never Saw and shared with you, Now, yes, I shall experience them, I'll go with you On ships across seas Which, I know, No, no, exist no longer; With you I shall re-experience them. I'll go with you On ships across seas Which, I know, No, no, exist no longer; With you I shall re-experience them. I'll go with you, I with you. |
|
(ছবিটি নিতান্তই মজা করার উদ্দ্যেশ্যে দেয়া, কারো বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হলেও তা পোস্টের উদ্দেশ্য নয়)
ডারউইনীয় ক্রমবিকাশ (বড় করে দেখার জন্য ছবির ওপর ক্লিক করুন)
তুষারপাত ভালো লাগে সবারই, তবে যতক্ষণ তা মায়াবী ফ্লারীজের (Flurries) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সৈয়দ মুজতবা আলীর 'ছেড়া ছেড়া পেঁজা পেঁজা তুলোর মত' বরফ যখন পড়তে থাকে তার নাম ফ্লারী। মায়াবী সে দৃশ্য - ছেলে বুড়ো সবার প্রিয়। ফ্লারীজ ছাড়াও আরা অনেক রকমের বরফ সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অবস্থা আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ও বিপজ্জনক দুটি হচ্ছে ফ্রিজিং রেন, ও ব্লিজার্ড।
ফ্রিজিং রেন-এর সময় বৃষ্টির ফোটাগুলোই বরফের ফোটা হয়ে পড়ে এবং ১/২ ঘন্টায় সকল কিছু পিচ্ছিল শক্ত বরফে ঢেকে যায়। এ অবস্থায় জুতায় স্পাইক লাগিয়ে বের হলেও আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা ৫০% এর উপর। একরাত ফ্রিজিং রেন হলে পরদিন সকাল দশটার মধ্যে হাসপাতালগুলোতে অর্থোপিডিক বিভাগে ৩০০-৫০০ রোগী ভর্তি হয় আমার শহরে। সকল রোড বন্ধ করে দেয়া হয়, মানুষ আইস স্কেটিং করে রাস্তাগুলোয়।
পছন্দের একটি নজরুলগীতি শেয়ার করলাম। গীতিটির কথা শুনে শুনে লিখেছি বলে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহার করতে পারলাম না। চরণগুলো কবি ঠিক এভাবেই সাজিয়েছিলেন কিনা তাও নিশ্চিত হবার মতো রেফারেন্স হাতের কাছে নেই। কারো জানা থাকলে দয়া করে শুধরে দিবেন।
***
শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে
বাহিরে ঝড় বহে নয়নে বারি ঝরে
শাওন রাতে যদি....
ভুলিও স্মৃতি মম নিশীথ স্বপন সম
আঁচলের গাঁথা মালা ফেলিও পথ পরে
বাহিরে ঝড় বহে নয়নে বারি ঝরে
শাওন রাতে যদি....
ঝুরিবে পূবালী বায় গহন দূর বনে
রহিবে চাহি তুমি একেলা বাতায়নে
বিরহী কুহু কেকা গাহিবে নীপশাখে
যমুনা নদী পারে শুনিবে কে যেন ডাকে
বিজলীর দীপশিখা খুঁজিবে তোমায় প্রিয়
দুহাতে ঢেক আঁখি যদি গো জলে ভরে
বাহিরে ঝড় বহে নয়নে বারি ঝরে
শাওন রাতে যদি....
***
(মানবেন্দ্র 'দীপশিখা'র স্থলে 'দীপ্রশিখা' গেয়েছেন।)
****
ছয় জন শিল্পীর কন্ঠে গানটি শুনতে পারেন -
Powered by eSnips.com |
ক্বাতিল শেফায়ী একজন উর্দু কবি। প্রকৃত নাম আওরঙ্গজেব খান (১৯১৯-২০০১)। তাঁর সম্ভবত সবচাইতে জনপ্রিয় কবিতাটির নাম 'ঘুঙ্গরু টুট গয়ে'। এ কবিতাটি সঙ্গীতরূপে পাকিস্তানের ৩টি ও ভারতের ৪টি চলচিত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। চলচিত্রের বাইরেও নামী-দামী শিল্পীদের অনেকেই গানটি গেয়েছেন। বলা হয়ে থাকে হিন্দী-উর্দুভাষী কোন শিল্পী যতক্ষণ এ গানটি না গাইছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি ঠিক শিল্পী হয়ে উঠেন না। নিচে কবিতাটি ও নামকরা কয়েকজন শিল্পীর গাওয়া গানটি শেয়ার করলাম। যাঁদের নেটের গতি ভালো নয়, তাঁরা কমপক্ষে রুনা লায়লার কন্ঠে গানটি শুনে দেখার চেষ্টা করবেন। আশা করি ভালো লাগবে।
***
মোহে (মুঝে) আয়ি না জগ সে লাজ
মে ইতনা জোরসে নাচি আজ
কি ঘুঙ্গরু টুট গয়ে...
কুছ মুঝ পে নয়া জোবান ভি থা
কুছ পেয়ার কা পাগল পন ভি থা
কভি পলক পলক মেরি তীর বনি
কভি জুলফ্ মেরি জাঞ্জির বনি
লিয়া দিল সাজন কা জীত
য়ো ছেড়ে পায়লিয়া নে গীত
কি ঘুঙ্গরু টুট গয়ে...
মে বাসি থি জিসকে সপনো মে
য়ো গিনেগা অব মুঝে আপনো মে
কেহতি হে মেরি হর আঙ্গড়ায়ী
মে পিয়া কে নিদ চুরা লায়ি
মে বনকে গয়ি থি চোর
মগর মেরি পায়েল থি কমজোর
কি ঘুঙ্গরু টুট গয়ে...
ধরতি পে না মেরি পেয়্র লাগে
বিন পিয়া মুঝে সব গায়্র লাগে
মুঝে রাঙ্গ মিলে আরমানো কে
মুঝে পাঙ্খ মিলে পারভাঁনো কে
জব মিলা পিয়া কা গাঁও
তো লাচকা অ্যায়সা মেরা পাঁও
কি ঘুঙ্গরু টুট গয়ে...
***
কবির নিজের আবৃতি
নাজ (১৯৬৯) ছবিতে মালা সিনহা
এক হি মাকসাদ (১৯৮৮) ছবিতে আশা ভোঁসলে (আমার নিজের আপলোড করা)
পংকজ উদাস (১৯৮৫)
|
ওস্তাদ জাকির হোসেন যিনি মাত্র ১২ বছর বয়সে তবলচি হিসাবে মিউজিক ট্যুর শুরু করেছেন বিষ্ময় বালক হিসাবে তিনি যে প্রায় ৬০ বছরে বয়সে এসে বিশ্বের এক নম্বর পারকাশানিস্ট হিসাবে পরিচিতি পাবেন তাতে আর অবাক হবার কি আছে! বলা হয়ে থাকে তাঁর হাত কথা বলে, সত্যিই কথা বলে। তবলা বা ড্রাম এমন বাদ্যযন্ত্র যা মিউজিকের সব নোট তোলার মত পারফেক্টেড নয়, তবুও বাদক যখন জাকির হোসেন তবল-বায়া চুপ করে থাকে কি করে? উল্লেখ্য জাকির হোসেন ওস্তাদ আল্লা রাখা-র পুত্র ও শিষ্য।
তাঁর একটি সাধারণ মানের পার্ফর্মেন্স দেখুন। তাঁর সাথে সারেঙ্গি বাজিয়েছেন আরেক অবিসংবাদিত সেরা বাদক ও গায়ক ওস্তাদ সুলতান খান (সুলতান খানের ওপর আরেকদিন পোস্ট দেব)।
প্রয়োজনে এবং শখের বশে গ্রাফিক্স ডিজাইন করি। সে হিসেবে শখের ছবিয়ালের মতো একজন অ্যামেচার ডিজাইনারও বলতে পারেন। তবে এই শখের ডিজাইনারের পরিচিতির কারনে কিছু পেশাদারী দায়িত্বও পেয়েছিলাম কখনো কখনো। দায়িত্ব হিসাবেই গোটা দশেক প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছিলাম বিভিন্ন সময়ে। তারই ছয়টি আমার কম্পিউটারে এখনো খুঁজে পাওয়া গেল। এগুলোর বেশিরভাগই বিজ্ঞান বিষয়ক রিপোর্ট, একটি নিয়মিত বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ও একটি সংকলন।
নিচের ছয়টি ছবি সামনের প্রচ্ছদের, পরের তিনটি ছবি ৩টি প্রচ্ছদের সিনথেটিক স্ন্যাপশট। সিনথেটিক স্ন্যাপশট হলো প্রচ্ছদটি ছাপাবার আগেই বইটি মলাটবদ্ধ অবস্থায় কেমন দেখাবে তার একটি কৃত্রিম ফটোগ্রাফিক রূপায়ন, কম্পিউটার গ্রাফিক্সের সাহায্যে করা। আমার প্রতিটি প্রচ্ছদের জন্য আমি সিনথেটিক স্ন্যাপশট তৈরী করে দেখেছি, তবে এই ৩টি ছাড়া অন্যগুলো এখন আর পিসিতে খুঁজে পাইনি, হয়তো কোন ব্যাকআপ সিডিতে থাকতে পারে। কয়েকটি প্রচ্ছদের ছবিতে প্রকাশকের লোগো এবং টাইটেলের কিছু অংশ ইচ্ছাকৃত ঝাপসা করে দিয়েছি, আশা করি তাতে প্রচ্ছদটি বুঝতে অসুবিধা হবে না।
ছয়টি প্রচ্ছদ
সিনথেটিক স্ন্যাপশট
"তারাই সর্বোৎকৃষ্ট মানুষ যারা (সুস্থ অবস্থাতে) প্রায়শ মৃত্যুর কথা স্মরণ করে"
- আল হাদীস
হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের ফিরে পাওয়ার আনন্দের পাশাপাশি ফেসবুকে কতটা কষ্টের উপাদানও আছে নিজের ফেসবুকে একটি ফ্রেন্ড প্রোফাইল চোখে পড়লেই প্রতিবার উপলদ্ধি করি, উপলদ্ধি করি প্রবলভাবে, সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে। কেঁপে উঠি এই ভেবে, একদিন আমার প্রোফাইলটিও এরকমই স্থবির পড়ে থাকবে আরেকজনের দেখার জন্য।
প্রোফাইলটি আমার দীর্ঘ ২২ বছরের অকৃপন বন্ধু-বড়ভাই-পৃষ্ঠপোষক দীপক কামালের। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফিশারীজ রিসোর্সেস অ্যান্ড মেরিন টেকনোলজী ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) একজন প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক, পরবর্তীতে প্রফেসর ও হেড অভ দ্য ডিপার্টমেন্ট। সুন্দরবনের উপর দীর্ঘ ৬ বছরের গবেষণা ফলাফল সংহত করার প্রকৃয়ায় তিনি গত বেশ কবছর থাইল্যান্ডে ছিলেন। গত বছরের ৪ আগস্ট হঠাৎ তাঁর হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে তাঁকে থামাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে নেয়া হয়, অল্প সময়ের মধ্যে সেখানেই তিনি তাঁর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রা-জিউ'ন)।
পন্ডিত শিবকুমার শর্মাই প্রথম সংগীতজ্ঞ যিনি সন্তুর দিয়ে পুরো গান বাজিয়ে যন্ত্রটিকে একটি প্রধান বাদ্যযন্ত্রের মর্যাদা দিয়েছেন, এর আগে যন্ত্রটি ছিলো কেবলই একটি অনুসঙ্গ। ৪০ বছর আগে তাঁর প্রথম পার্ফর্মেন্স -এর পর তাঁকে বা যন্ত্রটিকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ৭২ বছর বয়সী পন্ডিত নিঃসন্দেহে বাদ্যযন্ত্রটির অধিপতি, সর্বসেরা। নিজের ছেলে রাহুল শর্মার সাথে তার একটি অসাধারণ পার্ফর্মেন্স দেখুন।
পন্ডিত শিবকুমার শর্মাই প্রথম সংগীতজ্ঞ যিনি সন্তুর দিয়ে পুরো গান বাজিয়ে যন্ত্রটিকে একটি প্রধান বাদ্যযন্ত্রের মর্যাদা দিয়েছেন, এর আগে যন্ত্রটি ছিলো কেবলই একটি অনুসঙ্গ। ৪০ বছর আগে তাঁর প্রথম পার্ফর্মেন্স -এর পর তাঁকে বা যন্ত্রটিকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ৭২ বছর বয়সী পন্ডিত নিঃসন্দেহে বাদ্যযন্ত্রটির অধিপতি, সর্বসেরা। নিজের ছেলে রাহুল শর্মার সাথে তার একটি অসাধারণ পার্ফর্মেন্স দেখুন।
অডিও হিসাবে একটি পাহাড়ী ভালোবাসার গানের সুর শেয়ার করার ইচ্ছা ছিলো, কিন্তু কপিরাইট জটিলতায় তা ইস্নিপ্সে আপলোড হচ্ছেনা। :(
বাংলা রচনায় প্রায়ই আমাদের অনেক ইংরেজী শব্দ বাংলায় বানান করে দিতে হয় যুৎসই বাংলা প্রতিশব্দের অভাবে বা অন্য কোন কারণে। অনেক ক্ষেত্রেই বানানটি করা সহজ, যেমন call কে 'কল', tough কে 'টাফ'। কিন্তু কখনো কখনো, বানানের সময় বাংলা কোন ধ্বনিটি ব্যবহার করতে হবে তা দ্ব্যর্থহীন মনে হয় না, যেমন America কি 'এমেরিকা', 'অ্যামেরিকা', না 'আমেরিকা'?
এ নিয়ে আগে দুটি পর্ব লিখেছিলাম -
ইংরেজী শব্দের বাংলা বানানঃ এ বনাম আ
ইংরেজী শব্দের বাংলা বানানঃ অ বনাম ও
এবারের পর্বটি শুধুমাত্র ইংরেজী ai এবং শব্দের শেষে a(consonent)e দিয়ে যে উচ্চারন তাকে নিয়ে। কারণ এই দুটি স্বরসমষ্টি অঞ্চলভেদে অনেকটা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উচ্চারিত হয়। এ পর্বে কোন উচ্চারনরীতি দেখাবো না, বাংলায় বহুল প্রচলিত কয়েকটি ইংরেজী শব্দ ও তাদের বাঙলা বানান বিষয়ে আলোচনা দিয়েই শেষ করবো।
পন্ডিত রবীশংকর তনয়া আনুশকা শংকরের মিউজিক আমার খুব ভালো লাগে, তার একটি ছোট লাইভ পার্ফমেন্স শেয়ার করতে মন চাইল।
আনুশকার 'রাইজ' অ্যালবামটি ঢাকার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কিনা কেউ জানাতে পারলে খুশি হব।
পন্ডিত রবীশংকর তনয়া আনুশকা শংকরের মিউজিক আমার খুব ভালো লাগে, তার একটি ছোট লাইভ পার্ফমেন্স শেয়ার করতে মন চাইল।
আনুশকার 'রাইজ' অ্যালবামটি ঢাকার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কিনা কেউ জানাতে পারলে খুশি হব।
এবছর শীতটা নেমে গিয়েছিলো ঝুপ করে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে যে আরামদায়ক ফল সিজনটা পাবার কথা ছিলো সে সময়টাতেই কনকনে ঠান্ডা নেমে এসে বিচ্ছিরি অবস্থা। অক্টোবরেই তাপমান শুন্য, তুষারপাত হয়ে যা-তা কান্ড। তাই মাঝমাসে একদিন যখন হঠাৎ থার্মোমিটার বললো দশ-বারো, বুঝলাম পাতা ঝরে যাবার আগে এই-ই শেষ সুযোগ কটি ছবি তোলার। চলে গেলাম নগরীর সবচেয়ে বড় পার্ক, জু, ফরেস্ট অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমপ্লেক্স অ্যাসিনিবয়েন পার্কে - ইচ্ছা শেষ বিকেলের সোনা রোদ ক্যামেরাবন্দি করা। তারই কয়েকটি ছবি এখানে দিলাম।
বাংলা রচনায় প্রায়ই আমাদের অনেক ইংরেজী শব্দ বাংলায় বানান করে দিতে হয় যুৎসই বাংলা প্রতিশব্দের অভাবে বা অন্য কোন কারণে। অনেক ক্ষেত্রেই বানানটি করা সহজ, যেমন call কে 'কল', tough কে 'টাফ'। কিন্তু কখনো কখনো, বানানের সময় বাংলা কোন ধ্বনিটি ব্যবহার করতে হবে তা দ্ব্যর্থহীন মনে হয় না, যেমন America কি 'এমেরিকা', 'অ্যামেরিকা', না 'আমেরিকা'? এ নিয়ে গত পর্বে লিখেছিলাম ইংরেজী শব্দের বাংলা বানানঃ এ বনাম আ। এবার চেষ্টা করছি 'অ' এবং 'ও' ধ্বনি দিয়ে বানান বিষয়ে।
অ------------------------------------------
শুধু o দিয়ে যেসব ইংরেজী শব্দ তাদের উচ্চারণ হয় 'অ'। যেমনঃ
bottom (বটম)
cot (কট)
dog (ডগ)
mop (মপ)
blog (ব্লগ)
moderator (মডারেটর)
काहा आके रुक ने थे रास्ते
काहा मोड़ था उसे भूल जा
वो जो मिल गया उसे याद रख
जो नही मिला उसे भूल जा
वो तेरी नसीब की बारिषे
किसी और छत पे बरस गयी
दिल-ए बेख़बर मेरे बात सुन
उसे भूल जा, उसे भूल जा
मे तो गुम था तेरे ही ध्यान मे
तेरे आस तेरे गुमान मे
हवा केह गयी मेरे कान मे
मेरे साथ आ, उसे भूल जा
বাংলা রচনায় প্রায়ই আমাদের অনেক ইংরেজী শব্দ বাংলায় বানান করে দিতে হয় যুৎসই বাংলা প্রতিশব্দের অভাবে বা অন্য কোন কারণে। অনেক ক্ষেত্রেই বানানটি করা সহজ, যেমন call কে 'কল', tough কে 'টাফ'। কিন্তু কখনো কখনো, বানানের সময় বাংলা কোন ধ্বনিটি ব্যবহার করতে হবে তা দ্ব্যর্থহীন মনে হয় না, যেমন America কি 'এমেরিকা', 'অ্যামেরিকা', না 'আমেরিকা'? 'এ', 'অ্যা' ও 'আ' বিপত্তি নিয়ে কিছু লিখার চেষ্টা করছি, যাদের ভাষা তাদের উচ্চারনরীতি থেকে ধার করে।
ইংরেজী A-র উচ্চারণ 'য়্যা' এবং 'আ' উভয় ধ্বনিরই ব্যবহার আছে, তবে 'আ' এর ব্যবহার খুবই সীমিত এবং proper noun এর ক্ষেত্রে এ ব্যবহারটি বেশি দেখা যায়। যেমন-
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তোলা কিছু ফুল-পাতা হাবিজাবি শেয়ার করতে মন চাইল। বেশিরভাগেরই নাম জানি না। নির্বাসিত নিশাচরের সাহায্য পেলে হয়ত নামগুলো দিয়ে দেয়া যেত। আপনাদের জানা থাকলে জানাবেন আশা করি।
পাতা ঝরার দিন
ফর্কস মার্কেটের মূল পর্যবেক্ষন টাওয়ার
অ্যাসিনিবয়েন রিভার যেখানটায় মিশেছে রেড রিভারের সাথে, জায়গাটির নাম দ্য ফর্কস। লিখিত ইতিহাসে ৬০০০ বছর আগের কাহিনীও খুঁজে পাওয়া যায় স্থানটির। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সময়ের প্রথম দিকে জমজমাট ছিলো উত্তর আমেরিকার অন্যতম প্রধান ফার ট্রেড (পশম বাণিজ্য) কেন্দ্র হিসাবে। এখানেই গোড়াপত্তন ঘটে আজকের কানাডার অন্যতম বৃহৎ হাডসন বে কম্পানীর।
Copyright 2010 সাইদুর রহমান চৌধুরী
Theme designed by Lorelei Web Design
Blogger Templates by Blogger Template Place | supported by One-4-All