ফোন তুলে হ্যালো বলতেই ওপাশ হতে, হাই সাইদ?
- স্পিকিং
- ম্ম্, আয় অ্যাম ক্রিস্টা
"হাই ক্রিস্টা" বলে প্রত্যুত্তর না দেবার জন্য নিজেকে খুব বোকা বোকা মনে হোল হঠাৎ, বুঝলাম কয়েকটি মূল্যবান পয়েন্ট হারিয়েছি ফোনালাপের সূচনাটি ঠিক ভাবে করতে না পেরে। আমতা আমতা করে বললাম, ও হ্যা, আমি বুঝতে পেরেছি, তোমার নাম্বার আমার ফোনবুকে আছে। বলেই বুঝলাম আরো বোকামী করে ফেলেছি।
- ইউ নিড আ রাইড?
- না, থ্যাংকস। আমি নিজেই চলে আসতে পারবো।
- দ্যাটস অঅঅঅসাম!! চলে আস তাহলে।
- কিন্তু এখনতো মাত্র তিনটা বাজে, আমার না পাঁচটায় আসবার কথা?
- হি হি হি, মানে হয়েছে কি, ব্রডির মা চলে এসেছেন, ভাবলাম তুমিও চলে আসলে মন্দ না।
- ঠিক আছে, তৈরী হয়ে আসতে যতক্ষণ লাগে।
- কান্ট ওয়েট। বাই!
গত বসন্তের শুরুতেই বিরাট দুর্যোগ। বরফগলা জল বয়ে নিয়ে যাবার সাধ্য হারিয়েছে লোহিত নদ (রেড রিভার)। চারদিক ছাপিয়ে পুরো প্রদেশে থই থই বন্যা, ১০০ বছরে দ্বিতীয় ভয়াবহতম। শহরটা শুধু কোনমতে জেগে আছে বাঁধের কারণে। সাধ জাগলো, বন্যার ছবি তুলবো। বেরসিক পুলিশ যেতে দিলো না তিন তিনটি পয়েন্টে, আমি নাকি ডুবে মরতে পারি। ব্যর্থ হয়ে চলে গেলাম সেন্ট ভিটাল পার্কে, নিচের ছবিগুলো তুললাম।
পূর্বসূত্রঃ প্রথম দেখা খ্রিসমাসের খুটিনাটি
প্রার্থনা হল থেকে বেরুতেই দেখি পুরোদস্তুর ঈদ। সবাই কোলাকোলির মত করে হাগ করছে একে অন্যকে, কুশলাদী বিনিময় চলছে। বাচ্চারা সার বেধে হলওয়ের দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে, যেই সামনে পড়ছে তাকেই তোতাপাখির মত বলে যাচ্ছে 'মেরী খ্রিসমাস', 'মেরী খ্রিসমাস'। বাদামী ছোটখাট একজন মানুষ হিসাবে আমার প্রতি কৌতুহলটা তাদের কম নয়, ইতস্তত করে হলেও আমাকেও দুএকজন বললো। বড়রা অনেকেই এগিয়ে এল হ্যান্ডশেক করে 'মেরী খ্রিসমাস' জানানোর জন্য। টিফানীর দৃষ্টি লক্ষ্য করে দ্রুত এ পর্ব শেষ করে নিজের জ্যাকেটটি সংগ্রহ করে বেরিয়ে পড়লাম গির্জা থেকে।
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে প্রথম যাই ১৯৮৬ তে। যাই দেখি তাতেই মুগ্ধ।
সেসময় ভেনেজুয়েলার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সিনিয়র প্রফেসর বশির উল্লাহ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক), তিনি দেখি যাই দেখেন তাতেই হতাশ ও বিরক্ত। ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলাম, স্যার আপনার এই হতাশার কারণ কি? তিনি জানালেন, ৫০/৬০ এর দশকে তিনি বহুবার এই দ্বীপে এসেছেন, সে সময়ের তুলনায় ৮৬তে দ্বীপটির মৃতপ্রায় অবস্থা দেখে তিনি খুবই মর্মাহত। তাঁর ভাষায় এককালের 'প্যারাডাইজ'টির যে এই হাল করতে পারে কোন একটি দেশ ও তার মানুষেরা, এতে তিনি বিপন্ন বোধ করছিলেন।
১৯৮৬র পর আমারও বেশ কবার যাওয়া হয়েছে দ্বীপটিতে, কয়েক বছর পরপর, প্রায় নিয়মিত বিরতিতে। সবশেষ বার যাই ২০০৬-এ। এবার আমার বিপন্ন বোধ করার পালা। ১৯৮৬ তে যা দেখেছি, তার প্রায় কিছুই এখন আর অবশিষ্ট নেই।
পূর্বসূত্রঃ অতপর আমি দত্তক হয়ে গেলাম
"অতপর আমি দত্তক হয়ে গেলাম"-এর শেষ দিকে মন্তব্যের ঘরে আপডেট হিসাবে উল্লেখ করেছিলাম -
"এই মাত্র টিফানী জানালো, খ্রিসমাস ইভে (২৪ ডিসেম্বর) ওর বাবা-মা-ভাই সহ চার্চে যাবে প্রার্থনার জন্য, বিকেলে ডিনার। এবং জানতে চাইলো দাওয়াত গ্রহন করতে আমার আপত্তি আছে কি না। আমার মনে হয়, চার্চের ব্যাপারটাও দেখে আসা দরকার।"
বলাই বাহুল্য আমি দাওয়াত গ্রহন করেছিলাম চার্চের বিষয় আশয় এবং একটি পরিবারের ট্যাডিশনাল বড়দিন উদযাপন দেখার লোভে। পরে একটু দমে গিয়েছিলাম যখন জানলাম তাদের পরিবার উইনিপেগে থাকে না, থাকে তাদের হোম টাউন ব্রানকিল্ডে, আর সেখানেই হবে তাদের খ্রিসমাস। তবু কয়েকদফা মেসেজ চালাচালির পর ঠিক হলো ২৪ তারিখ (গতকাল) বিকেল ৪:১৫তে টিফানী আমাকে তুলে নেবে।
- উত্তোরত্তর অত্যন্ত বাজে হয়ে উঠছো তুমি।
আজ থেকে তোমাকে ডাকবো।
চুল্লি।
কেন জান? কেবল পোড়াচ্ছ বলে।
সুখের জন্য হাত পাতলে যা দাও
সে তো আগুনই।
- উত্তোরত্তর অত্যন্ত যা-তা হয়ে উঠছো তুমি
আজ থেকে আমিও তোমাকে ডাকবো
জল্লাদ।
কেন জান? কেবল হত্যা করছো বলে।
তোমাকে যা দিতে পারি না, তার দুঃখ
সে তো ছুরিরই ফলা।
**** **** ****
পূর্ণেন্দু পত্রীর এই কবিতাগুলো পড়েননি বা আবৃতি শোনেন নি বোধ করি খুব কম বাঙালী প্রেমিক।
Kothopokothon-26-27
বাকীগুলো দেখতে চাইলে বা আবৃতি শুনতে চাইলে নিচের লিংক দুটোতে যেতে পারেন।
Powered by eSnips.com |
রাত ২:২০। জিয়া ভাইয়ের পোষ্টে কমেন্ট লেখা শেষ হতে না হতেই বিকট শব্দে বেজে উঠলো ফায়ার অ্যালার্ম। জানি কি করতে হবে, ছুটে বেরিয়ে যাওয়া নয়, বাইরে তাপমান শুন্যের নিচে ২৫। প্রথমে তাই সে অনুযায়ী পোশাক, জুতা, দস্তানা, কানঢাকা টুপি। হলওয়ে ছেড়ে মূল লবিতে দাড়াবার কয়েক মিনিটের মাথায় এসে পড়লো ৯১১ ইর্মাজেন্সী সার্ভিসের দমকল ইউনিটের ৪/৫টা গাড়ি। অতিকায় দেহের সুসজ্জিত দমকলকর্মীরা আসতেই ৩০০টি ফ্লাটের জড় হওয়া বাসিন্দাদের চোখেমুখে যে সম্ভ্রম লক্ষ্য করেছি, তখনই মাথায় এলো লেখার আইডিয়াটি। এই সম্ভ্রম আগেও দেখেছি, আজও দেখলাম। দমকল কর্মীরা হোল এখানকার মানুষের কাছে হিরো এবং পেশা হিসাবে সবচেয়ে শ্রদ্ধার। উইনিপেগের মানুষ একটু বেশিই শ্রদ্ধা করে, কারণ শুধু কানাডা নয়, গোটা উত্তর আমেরিকার প্রথম সমন্বিত ৯১১ কার্যক্রমটি চালু হয় এই শহরেই। আমার মনে হোল আমাদের যারা দমকল কর্মী তাঁরা এদের চেয়েও অনেক কম সুবিধা ও যন্ত্রপাতি নিয়ে এদের চেয়ে অনেক বেশি ঝুকি নিয়ে আগুনের মোকাবেলা করেন, বাংলাদেশের দমকল কর্মীদের আমরাও যদি হিরোর মর্যাদা দেই আমাদের নিজেদের মহত্ব ও কৃতজ্ঞতাই তাতে প্রকাশ পাবে।
(বিশেষ করে আলপিন, সকাল ও জায়দুল ইসলাম-এর আগ্রহে ট্যুটোরিয়ালটি দিলাম, অন্যদেরও কাজে লাগলে আনন্দ পাবো)
ফটোশপে ডিজিটাল জাতীয় পতাকায় দেখিয়েছিলাম কি করে সঠিক মাপের ও রংয়ের একটি জাতীয় পতাকা তৈরী করা যায় ফটোশপে। আজ দেখাবে কি করে তাকে হাওয়ায় দোলা একটি পতাকার রূপ দেয়া যায়।
জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত পুরনো পোস্টঃ
১. জরীপঃ জাতীয় পতাকার রং সঠিক জানেন কি?
২. জাতীয় পতাকার রং কি? জরীপ ও উপসংহার - পর্ব ১(২)
৩. জাতীয় পতাকার রং কি? জরীপ ও উপসংহার - পর্ব ২(২)
************
১। ফটোশপে File মেনু থেকে New সিলেক্ট করুন (বা Ctrl+N)
২। নুতন ফাইল তৈরীর যে ডায়ালগ বক্সটি পাবেন তাতে ডিজিটাল আর্টওয়র্কটির প্রস্থ ১০০০ এবং উচ্চতা ৬০০ টাইপ করে Ok করুন। লক্ষ্য রাখবেন Mode যেন RGB Color হিসেবে সিলেক্ট করা থাকে। Contents হিসাবে White সিলেক্ট করে নিতে পারেন, তাহলে এই টিউটরিয়াল-এর সাথে মিল থাকবে।
(আগের পর্বের ধারাবাহিকতায় রচিত। আগের পর্বটি পড়া না থাকলে এ পর্বটি বোধগম্য নাও হতে পারে।)
আগের পর্বের লিংকঃ জাতীয় পতাকার রং কি? জরীপ ও উপসংহার - পর্ব ১(২)
এতো গেল কাপড়ের পতাকার জটিলতা। কাগজের পতাকা বা পত্র-পত্রিকায় পতাকা ছাপানোর ক্ষেত্রে কি করতে হবে? ছাপার রং (কালি) কাপড় রঙাবার রং থেকে একেবারেই ভিন্ন। তাদের শেডের নামও ভিন্ন। অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদনকারীও ভিন্ন। ক্যানভাস বা মুরেলে পতাকা আকতে গেলে কি করতে হবে? তুলির রং (পেইন্ট) কাপড় বা ছাপার রং থেকে ভিন্ন, শেডের নাম বা উৎপাদনকারীও হয়তো ভিন্ন। কাজেই ছাপা বা আঁকার ক্ষেত্রে পতাকা বিধি থেকে প্রত্যক্ষ কোন সাহায্য / নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না।
এবার আসি ডিজিটাল আর্ট ফর্মে। ডিজিটাল আর্ট ফর্ম সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি জগত। এখানে রংয়ের সঙ্গাই ভিন্ন। এত কিছু বলেছি, এ বিষয়টি না বললে পাঠকের প্রতি অবিচার করা হবে। রংয়ের দুটি জগৎ আছে - একটি রঞ্জক সম্পর্কিত (pigment), অন্যটি আলোক (optics) সম্পর্কিত। দুই জগতের দুই নিয়ম, বিপরীত নিয়ম। রঞ্জকের জগতে সকল মৌলিক রং মেশালে মিশ্রণের রং হয় কালো, আলোকের জগতে সকল মৌলিক রং মেশালে মিশ্রণের রং হয় সাদা। রঞ্জকের জগতে রঞ্জক যোগ করলে রং গাঢ় হতে থাকে, আলোকের জগতে আলোক যোগ করলে রং ফিকে হতে থাকে। ডিজিটাল আর্ট ফর্ম আলোকের জগতের বাসিন্দা, যতক্ষণ না তাকে প্রিন্ট করছি, প্রিন্ট করলেই সে চলে গেল রঞ্জকের জগতে। কম্পিউটার মনিটরে যে রং আমরা দেখি তা আলোক ছাড়া আর কিছুই না। লাল, সবুজ আর নীল (RGB) এই তিনটি মৌলিক রং দিয়ে বিশ্বের যাবতীয় রং সৃষ্টি (সাত রংয়ের ব্যাপারটি প্রাচীন ধারণা)।
বিভিন্ন রকমের সবুজ রং ব্যবহার করে তৈরী জাতীয় পতাকার ৬টি গ্রাফিক্স দেখিয়ে গতকাল জরীপঃ জাতীয় পতাকার রং সঠিক জানেন কি? শিরোনামে একটি জরীপ চালিয়েছিলাম। সহব্লগারদের অনুরোধ করেছিলাম ৬টির মধ্যে যে রংটিকে সঠিক বলে মনে হয়, তা চিহ্নিত করে দিতে। সুখের বিষয় দুএকজন ছাড়া বাকী প্রায় সবাই যে গ্রাফিক্সটির পক্ষে মতামত দিয়েছেন, অর্থাৎ ৬ নম্বর, সেটিই আমাদের জাতীয় পতাকার অনেকটা কাছাকাছি রং। 'কাছাকাছি' এ জন্য বলছি যে, প্রকৃত রং কোনটি তা নিশ্চিত করে বলা এখন আর কারো পক্ষেই সহজ নয়।
একটু আগে আগে জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত ও পতাকার ছবি সম্বলিত দুটি পোস্ট পড়ে এসেছি। পোস্ট দুটি হোল, শেখ নজরুলের আসুন অনড় পায়ে এখনই তাঁকে সালাম জানাই এবং নীরব পথিকের একটি বিজয় নিশান চাই......."। লেখার জন্য দুজনকেই আমার অভিনন্দন।
লেখাগুলোতে ব্যবহৃত জাতীয় পতাকা দুটি দেখে আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে, আমরা কতজন জানি আমাদের জাতীয় পতাকার সঠিক রং কি। লেখকদ্বয় আমাকে ভুল বোঝার আগেই আমি বলে নিতে চাই, তাদের প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখেই আমি এ পোস্টটি দিচ্ছি। আমি ধরে নিচ্ছি তাদের দুজনের কেউই পোস্টে ব্যবহৃত পতাকার গ্রাফিক্স নিজে তৈরী করেননি, কোথাও হতে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু এটি নিশ্চিত যে কোন না কোন বাংলাদেশী গ্রাফিক্স দুটির স্রষ্টা। উপরে যে পতাকাটি দেখছেন তা নিরব পথিকের পোস্টে ব্যবহৃত পতাকার আলোছায়া দুর করে পাওয়া রং। আর ঠিক নিচের পতাকাটি শেখ নজরুলের ব্যবহৃত প্রাফিক্সের পূনঃসৃষ্টি।
~কি দ্যাখো?
~ছবি!
~ছবিই কি?
~নয়তো?
~তোমার একফালি দৃষ্টির জন্য
কারো হৃদপিন্ডের ধুকপুকুনি নয়?
चाँद किसि दिन पुछ ना बैठे
तुमसे दिलकि बात,
छात पर आ कर खत लिखति हो
किसको सारि रात?
চাঁন্দ কিসি দিন পুছ না বেয়ঠে
তুমসে দিলকি বাত,
ছাত পর আ কর খত লিখতি হো
কিসকো সারি রাত?)
চাঁদ কখনো মনের কথা
জানতে যদি চায়,
রাতের ছাদে পত্র লিখো
কাকে নিরালায়?
আমার প্রথম আলো ব্লগে যারা গিয়েছেন প্রোফাইলের ব্যানারে আমার মেয়ের অ্যানিমেটেড এই ছবিটি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন। অনেকেই তা খুব পছন্দ করেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। দু'একজন সহব্লগার কিভাবে এটি করা যায় তাও জানতে চেয়েছেন। আমি তাদের কথা দিয়েছিলাম একটি পোস্ট দিয়ে চেষ্টা করবো কৌশলটির ওপর আলোকপাত করতে।
শুরুতেই বলে নেয়া ভাল, অ্যানিমেশনটি কোন ভিডিও থেকে নেয়া নয়, ৩টি স্থিরচিত্র থেকে তৈরী করা। যদিও ঘটনাক্রমে ছবি ৩টি অ্যানালগ ভিডিও ক্যামেরা থেকে সরাসরি ক্যাপচার কার্ডের সাহায্যে নেয়া (ডিজিটাল বা ফিল্ম ক্যামেরা দিয়ে নয়)। নিচের ৩টি ছবি আমার ব্যানার অ্যানিমেশনে ব্যবহার করেছি-
শৈশবে লুকোচুরি বা হাইড-অ্যান্ড-সীক খেলেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বোধ করি দুষ্কর হবে, সারা দুনিয়ায়। মানুষ অ্যাডভেঞ্চারের জগতে পা রাখে এই খেলা দিয়ে, তাই বড় হয়েও লুকোচুরির বাসনা তার যায় না। সাম্প্রতিককালে বড়দের জন্য একরকমের লুকোচুরি খেলা চালু হয়েছে, তার সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব।
প্রদর্শনের শেষ পর্বে অবশিষ্ট তিনটি কার্ড দিলাম। সপ্তাহজুড়ে যারা আমাকে
মন্তব্য করে, ভাললাগা জানিয়ে উৎসাহিত করেছেন, এবং যারা মন্তব্য না করলেও সময় নিয়ে দেখে গিয়েছেন আমার কার্ডগুলো সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।
আমি জানি মাত্র ১৬টি পোস্টকার্ড বা পোস্টার দিয়ে একটি দেশকে তুলে ধরার চেষ্টা হাস্যকর, সংখ্যাটি ষোলশ হলে কাছাকাছি যাওয়া যেত। নিজের সময়, সুযোগ ও চিত্রসংগ্রহ অনুকূলে থাকলে কখনো হয়ত আরো কিছু কার্ড তৈরী করবো। বিষয়াবলী নিয়ে আপনাদের কোন পরামর্শ থাকলে দেবেন (আজই দিতে হবে এমন নয়)। পরিশেষে আপনাদের সামগ্রিক কোন বক্তব্য থাকলে তাও জানতে আমি আগ্রহী।
প্রচ্ছদ
... ... ...
ভূমিকাঃ এর কোন ভূমিকা নেই।
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০৭, ২০০৯
প্রায় শেষ দিকে চলে এসেছি আমার পোস্টকার্ড প্রদর্শনের। আজ দিলাম আরো তিন।
(এরশাদ ভাইসহ চীনের পাঠকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ছবির লিংক ব্লগস্পট থেকে সরাতে পারিনি বলে)
আগে প্রদর্শিত কার্ডের লিংকগুলো সাথে দিলাম।
পোস্টকার্ডে আমার বাংলাদেশ - ০৮, ০৯ ও ১০
পোস্টকার্ডে আমার বাংলাদেশ - ০৬ ও ০৭
পোস্টকার্ডে আমার বাংলাদেশ - ০৪ ও ০৫
পোস্টকার্ডে আমার বাংলাদেশ - ০৩
পোস্টকার্ডে আমার বাংলাদেশ - ০২
১৯৭১ এবং একটি পোস্টকার্ড
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০৭, ২০০৯
"এই যে ভাই, একটু জায়গা করে দেবেন? বাচ্চারা পানিতে নামতে চায়" - মানুষের সারির সুবিধাজনক কোন একটা অংশে গিয়ে এভাবেই আবেদন করতে হয় বিশেষ বিশেষ ছুটির দিনের পতেঙ্গা বীচে। চিটাগং-এ আর যাবোই কোথায়? ঘুরে ফিরে সেই পতেঙ্গা। হতাশ এবং বিরক্ত হবার মত ভিড়, সবসময় হয়েছিও তাই।
এখন যে শহরে আছি তার জনসংখ্যা চিটাগং-এর পাঁচ ভাগের একভাগেরও কম। অথচ আয়তন ঢাকার তিনগুনেরও বেশি। স্বভাবতই ঢাকারতো নয়ই, চিটাগং-এরও ধারে কাছে যায়না কোন জনসমাগম।
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০৬, ২০০৯
দ্রুত শেষ করতে চাই আমার পোস্টকার্ড প্রদর্শন পর্ব। তাই আজ আরো ৩টি কার্ড, প্রকৃতি সম্পর্কিত।
আগে প্রদর্শিত কার্ডের লিংকগুলো সাথে দিলাম।
পোস্টকার্ডে আমার বাংলাদেশ - ০৬ ও ০৭
পোস্টকার্ডে আমার বাংলাদেশ - ০৪ ও ০৫
পোস্টকার্ডে আমার বাংলাদেশ - ০৩
পোস্টকার্ডে আমার বাংলাদেশ - ০২
১৯৭১ এবং একটি পোস্টকার্ড
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০৬, ২০০৯
আমার লেখা যান্ত্রিক বচন ও কিছু স্মৃতি -তে টেক্সট্-টু-স্পীচ প্রসংগে ভুল করে লিখেছিলাম-
"উন্নত বিশ্বের প্রধান ভাষাগুলোর সবই এর আওতায় চলে এসেছে - ইংরেজী, স্প্যানিশ, ফরাসি, জার্মান, ইতালিয়ান, ডাচ, রাশিয়ান, আরবী। ... ... ... দুঃখিত বাংলার জন্য আপাতত কোন সুসংবাদ নেই"।
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০৫, ২০০৯
মুখবন্ধঃ
লক্ষ্য করেছি, ব্লগে বহুল জিজ্ঞাসিত 'টেকি' প্রশ্নের মধ্যে প্রধান প্রধানগুলো হচ্ছে-
ছবি সংযুক্ত করবো কিভাবে? লেখার ফন্ট ছোট-বড়/রঙীন করবো কিভাবে? লিংক দেবো কিভাবে? ... .... ইত্যাদি ইত্যাদি।
জবাব আসে-
<img src="... ..."/>
<p style="... ...">... ...</p>
<a href="... ...">... ...</a>
... .... ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০৫, ২০০৯
প্রকৃতি ভালবাসেন যত মানুষ তার অর্ধেক ভালবাসেন সমুদ্র। আমি বাসিনা। সমুদ্র দেখলেই আমার বমি পায় (প্রায়), প্রথমবেলায় বমি করে জাহাজের ডেক ভাসিয়ে দেবার কথা মনে পড়ে। ঢেউ দেখে কবিদের মনের সীমান্তে আছড়ে পড়ে ছন্দের ঊর্মিমালা, আমি দেখতে পাই পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র আর গাণিতিক রাশিমালা। সমুদ্র দেখলেই আমার মনে পড়ে যায় অমানুষিক পরিশ্রম করা ফিল্ডওয়র্কের কথা, অসাধারণ সুন্দর প্রজাপতি মাছ দেখলেও আমার মনে ইচ্ছে জাগে তাকে ব্যবচ্ছেদ করে দেখতে সে তৃণ খায় না মাংস খায়। অদ্ভুত নীল আকাশ সাক্ষাৎ সমুদ্রের বুকে নেমে এলে আমার জানা হয়ে যায় এখানে শৈবাল কম, কোন সুন্দর আমি দেখতে পাইনা। আমি সবুজ সমুদ্র দেখতে চাই।
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০৪, ২০০৯
ডিসেম্বরের পয়লা, রাত ১২ পেরিয়ে কেবলই ১২ মিনিট হয়েছে। শেখ নজরুল ভাইয়ের পোস্ট এলো "শুরু হলো বিজয়ের মাস..."। এরপর হয়তো আরো কিছু পোস্ট এসেছে 'ডিসেম্বরের', নইলে আমার মিছিলে যাবার ইচ্ছে হল কেন? মিছিলে যাব, কি নিয়ে যাই ভাবতে ভাবতেই আমার আর মেশিনের দুয়েরই স্মৃতি হাতড়ে দিয়ে ফেললাম "১৯৭১ এবং একটি পোস্টকার্ড"।
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০৩, ২০০৯
দেশের বাইরে বাজেভাবে ঈদ পালন আগেও করেছি, প্রতিবারই মনে হয় এবারই সবচেয়ে খারাপ সময় গেল। ২৭ তারিখে ঈদ গেল, গরু জবাইও হল, কিন্তু মাংস আনার জন্য রবার্টের খামারে ডাক পড়ল ৩০ তারিখে। ঈদের ৩য় দিনও ধরা গেলনা।
আপনাদের সাথে শেয়ার করি রবার্টের খামারে তোলা কিছু এলোমেলো ছবি।
ট্যাগ লাগানো গরু ঝুলানো আছে
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০১, ২০০৯
বিদেশে বা দেশে একা একা যারা থাকেন এবং নিজের রান্না নিজেই করেন তাদের জন্য আমার ফাঁকিবাজির ঝাপি থেকে এক টুকরো রেসিপি। রন্ধনপটুদের এই পোস্ট না পড়লেও চলবে।
সংবিধিবদ্ধ নয় তবু সতর্কীকরণঃ এই খাদ্য আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে।
গতকাল এ বিষয়ক একটি লেখা দিয়েছিলাম, কোরবানীর বিভৎসতা(?) ও পশ্চিমা সমাজের পশুপ্রেম। আরো কিছু তথ্য ও ছবি সংযুক্তির ইচ্ছা থাকলেও লেখাটির কলেবর ছোট রাখার জন্য তা আর দেইনি। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে গতকালের লেখাটি বিপুল সংখ্যক পাঠককে আকৃষ্ট করেছে। হিট কাউন্টারের তথ্য অনুযায়ী লেখাটির ইউনিক ভিজিটর সংখ্যা আমার অন্য যে কোন লেখার প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যাঁদের অনেকেই হয়তো কেবলই পাঠক। যাঁরা ব্লগার তাঁদেরও অনেকেই মন্তব্য লিখে আমাকে উৎসাহিত করেছেন। তাই আমার মনে হোল যে অংশটুকু গতকালের লেখা থেকে ছেঁটে ফেলেছিলাম, নুতন একটি পোস্টের আকারে তা দিয়ে দিলে বিপুল সংখ্যক পাঠকের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতাটুকু ঠিকঠাক প্রকাশ পাবে।
সুপ্রিয় ব্লগার ও পাঠক,
ঈদ মোবারক। আপনাদের ঈদের দিনটি ভালো কেটেছে আশা করি। মুসলিমদের ঘরে ঘরে নিজের বা অন্যের কোরবানীর পশুর মাংসও মজা করে খাওয়া দাওয়া হচ্ছে নিশ্চয়ই। দুর বিদেশে নিজে যে আনন্দে অংশগ্রহন করতে পারছিনা, আপনাদের আনন্দের কথা ভেবে তা ভুলে থাকারও চেষ্টা করছি।
আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ত আছেন, যাদের হৃদয় অতি কোমল, তারা কোরবানীর পশু জবাইয়ের দৃশ্য সহ্য করতে পারেন না। এমনও কেউ কেউ আছেন, যারা মাংস সামনে দেখলে অসহায় পশুটির কথা মনে করে তা আর খেতেও পারেন না। অন্যের কথা বলি কেন, আমার নিকটাত্মীয়ের মধ্যেই এরকম দু'একজন আছে। এই কোমলমতি মানুষগুলোকে আপতত সহানুভূতি জানান ছাড়া আর কি করতে পারি ভেবে পাইনা। মনের ভেতর তাদের জন্য একধরনের ভালবাসা অনুভব করি।
দু'তিনটি ইমেল অ্যাকাউন্ট, সাথে চ্যাট আর স্কাইপ, কমপক্ষে ফেসবুক, সময় থাকলে ট্যুইটার-লিংক্ড্ইন - এ ছাড়া আজকাল আর কারো চলেই না। শ্লথ সময়ে সমস্যা নেই, কিন্তু ব্যস্ত সময়ে নিয়ম করে সবকটিতে সাইন-ইন করা, নুতন কি এলো সব তার ওপর চোখ রাখা কম ঝক্কি নয়। দিন দিন তাই জনপ্রিয় হচ্ছে ইউনিভার্সাল চ্যাট ক্লায়েন্ট নামে পরিচিত এক শ্রেণীর সফটওয়্যার। এদের কাজ হোল আপনার ডেস্কটপে বা সিস্টেম ট্রে-তে বসে থেকে কখন কে মেসেন্জারে সাইন-ইন সাইন-আউট করলো, কখন আপনার নুতন একটি মেল এলো, ট্যুইটারে যাদের ফলো করছেন তারা কখন কি ট্যুইট করলো, ফেসবুকে নুতন কি ঘটলো প্রায় তাৎক্ষণিক আপনাকে জানানো। এবার আপনি গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা নিন।
যখন অন্য ভালো কিছু ছিলোনা, তখন আমার পছন্দ ছিলো ট্রিলিয়ান (Trillian), এখন পছন্দ ডিগস্বি (Digsby)। নিচের ছবিটি এর প্রধান ইন্টারফেসের। উইন্ডোটি টাস্কবারের মত অটো-হাইড করে রাখাও যায়।
এতে আপনি আপনার যে সব অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করতে পারবেন -
চ্যাট/মেসেণ্জারঃ Yahoo, Google Talk, MSN, ICQ, AIM, Jabber এবং Facebook Chat
ইমেলঃ Hotmail, GMail, Yahoo, AOL এবং যে কোন POP/IMAP মেল (যেমন- অফিসের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, আইএসপির দেয়া মেল অ্যাকাউন্ট)
সোশাল নেটওয়র্কঃ Facebook, Twitter, MySpace এবং LinkedIn
আমার ডেস্কটপে ঘাপটি মারিয়া বসিয়া থাকা উইগেট নামীয় বস্তুটি দেখিয়া বুঝিলাম, শীত আসিয়াছে বলিবার সময় হয় নাই। আবহাওয়ার সংবাদে প্রকাশ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন, তাপমান আরামদায়ক অপেক্ষা ইষদুষ্ঞ। আমার দ্বিতীয় বাড়ী ব্যাংককের হট, হটার ও হটেস্ট সিজনের মধ্যে এখন হট সিজনটি চলিতেছে। লন্ডন ও টরন্টোবাসী সর্বদাই 'শীত শীত' বলিয়া কাতরাইতে থাকে, দেখিলাম উহাদের সত্যই শীত নামিয়াছে, যথাক্রমে ৭ ও ৬ ডিগ্রী অনুভব করা যাইতেছে। উত্তর মেরুর কাছে যে চার্চিল শহর, সেখানে শুণ্যের নিচে ৯ ডিগ্রী মালুম হইতেছে। আমার এখানে এখনো শীত তেমন করিয়া নামে নাই, শুণ্যের নিচে মাত্র ১৮ অনুভব হইতেছে। উহা -৩৫ এর নিচে নামিবার আগে 'শীত শীত' কহিলে শহরবাসী আমাকে খেদাইয়া দিবে। উল্লেখ্য, উইনিপেগ পৃথিবীর শীতলতম নগরী বলিয়া পরিচিত। এবং ছবিটি গতকাল রাত্রিতে সংরক্ষণ করা। |
এই যে আমি লিখছি, একই সময় শুনছিও। গান নয়, প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলোর আজকের দিনের শিরোনাম - ব্যাকগ্রাউন্ডে আমার কম্পিউটার আমাকে পড়ে শোনাচ্ছে। খুব যে মনোযোগ দিতে হচ্ছে তা নয়, ক্যাচি কোন শিরোনাম কানে আসলে লেখা বন্ধ করে একবার দেখে নেবো বিষয় কি। কম্পিউটার ভিত্তিক এই প্রযুক্তির নাম টিটিএস বা টেক্সট টু স্পীচ - কৃত্রিম স্বর বা সিনথেসাইজ্ড ভয়েস প্রযুক্তির একটি অংশ। এটি থাকলে আপনাকে আর সমসময় ওয়েবসাইট, পিডিএফ বা ওয়র্ড ডকুমেন্ট পড়তে হবে না, যখন নিজের পড়তে ইচ্ছে হবে না কম্পিউটারকে বলবেন পড়ে দিতে। আমি বিশেষভাবে এর একজন ভক্ত, প্রায়ই পড়ে শোনানোর কাজ ছেড়ে দেই পিসি-র হাতে।
দ্বিতীয় প্রজন্মের স্বর প্রযুক্তি
(হাবিবুর রহমান প্রজন্মের স্বর এখন আর আমার সংগ্রহে নেই)
প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত নবেম্বর ২২, ২০০৯
আজ রবিবার। আমার রাজত্বে রবির আভা কিরণ হয়ে এখনো ফোটেনি। ছুটির দ্বিতীয় দিন। কোন তাড়া নেই। সোমবারে কোন সভা নেই। প্রস্তুতির তাড়াও নেই। শীত প্রায় নেমে গেছে। বেড়নোর মৌসুমও শেষ। অন্তত পাঁচ মাসের জন্য। চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিচ্ছি। আর অলস বিছানায় আধশোয়া হয়ে লিখছি। মন চলে গেছে আমার ছোট্ট গাঁয়ে। শীতের রবিবার সকাল। স্কুল বন্ধ। শুধু ভোরের মক্তবে সুর করে কয়েকদন্ড কোরান পাঠ। এরপর সারা দিনমান অখন্ড সময় শুধুই আমার।
আজো সারাদিন শুধুই আমার। ছেলেবেলার কোন সাথী নেই আমার সময়ে ভাগ বসাবার। ছেলেবেলার কেন, নেই কোন বেলার সাথীরাই। আছে শুধু শতাব্দির বিষ্ময় এক কালো বাক্স। তার পর্দায় আমাকে দোলা দিয়ে যায় দশ সহস্র মাইল দুরে ফেলে আসা ভূমিতে নুতন করে পাওয়া একদল সাইবার সাথী।
কিছুকাল আগে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন রিডার্স ডাইজেস্ট বিশ্বের ছত্রিশ মহানগরে মানুষ কত নম্র-ভদ্র তার পরীক্ষা চালিয়েছিলো। সবচেয়ে বেশি আশি পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষ ভদ্র নগরের টাইটেল পেয়েছিলো ন্যুইয়র্ক, আর বত্রিশ পেয়ে সবার নিচে ছিলো মুম্বাই। তারা অবশ্য বলেনি সবচেয়ে অভদ্র নগর, তারা বলেছিলো 'সবচেয়ে কম সজ্জন'। ভারতের সবচেয়ে 'আধুনিক' নগরী বলে পরিচিত মুম্বাই-এর যদি এই হাল হয়, অন্য নগরীগুলোয় পরীক্ষাটি চালালে কি ফলাফল হতে পারত; তা বলতে যাওয়া একেবারেই অনুমাননির্ভর হয়ে যাবে। ঢাকার ব্যাপারেও তাই, কারণ এখানেও পরীক্ষাটি চলেনি। বলে নেয়া ভাল, যে নগরগুলো থেকে রিডার্স ডাইজেস্ট প্রকাশিত হয় শুধু সেগুলোই জরীপের আওতায় এসেছিলো।
smile
(লিখালিখির মন নেই, তাই একটি দুর্বল উপলক্ষ্যের সুযোগ নিয়ে আজকের পোস্ট)
কয়েকটি খসড়া, কয়েকটি সাময়িক আর কয়েকটি অনুরোধের পোস্ট বাদ দিলে আমার পোস্টের সংখ্যা নব্বই ছুঁই ছুঁই। তবে ক্রমিকের হিসাবে এই পোস্টটি আমার শততম পোস্ট। সংখ্যাটি পুরনো ব্লগারদের অবদানের তুলনায় তুচ্ছ। ১৭ নবেম্বর ২০০৯-এ যাত্রা শুরু করি, দুমাস পুরোতে আরো কয়দিন বাকি, সে হিসেবে নিজের অর্জনকে অবহেলাও করিনা। পোস্ট সংখ্যার চেয়েও অন্যের ভাললাগা ভালাবাসার অর্জনটি আমার কাছে বড়। তবু ইচ্ছা হোল নিজেকে দেখার ছলে হলেও একবার মিলিয়ে নেই কি করলাম দু'মাসে।
স্বনামে ব্লগিং করলেও দুটি স্যুডো-ছদ্মনামও ব্যবহার করি আমি - শখের ছবিয়াল, আর নাদান। শখের ছবিয়াল ছবি তোলে, অন্যদের দেখায় আর নিজে আনন্দ পায়। নাদান বিব্রতকর প্রশ্ন করার লজ্জা থেকে সাইদুর রহমান চৌধুরী-কে আড়াল করে। এই তিনে মিলে যা করলাম তার একটি ফিরিস্তি বানালাম-
পদ্য/অনুবাদ
এক বিষন্ন সন্ধ্যায় একটি প্রিয় শায়েরীর বাংলাকরণ অপচেষ্টাআত্মোপলদ্ধিমূলক
অনুকথন - ০১গ্রাফিক্স
১৯৭১ এবং একটি পোস্টকার্ডছবি
এলোমেলো ঈদের এলোমেলো ছবিসংগ্রহ/সংগীত
সংগ্রহঃ পূর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথনস্মৃতি/অভিজ্ঞতা
অতপর আমি দত্তক হয়ে গেলামটেক/টিউটোরিয়াল
যান্ত্রিক বচন ও কিছু স্মৃতিব্লগ বিষয়ক
ব্লগ নিয়ে আমার বেকায়দা, তার সমাধাননিবন্ধ/নিরীক্ষামূলক
বিনোদন
লিটল মস্ক অন দ্য প্রেয়্রী (রিভিউ)ভাষা
ইংরেজী শব্দের বাংলা বানানঃ এ বনাম অ্যারেসিপি
ফাঁকিবাজির রান্নাবান্না - ০১রসাত্মক
শিখিবার বাসনা পরিত্যাগ করি নাই (রম্য)অন্যান্য
নম্রতার ব্যারোমিটারCopyright 2010 সাইদুর রহমান চৌধুরী
Theme designed by Lorelei Web Design
Blogger Templates by Blogger Template Place | supported by One-4-All