এই যে আমি লিখছি, একই সময় শুনছিও। গান নয়, প্রধান প্রধান সংবাদপত্রগুলোর আজকের দিনের শিরোনাম - ব্যাকগ্রাউন্ডে আমার কম্পিউটার আমাকে পড়ে শোনাচ্ছে। খুব যে মনোযোগ দিতে হচ্ছে তা নয়, ক্যাচি কোন শিরোনাম কানে আসলে লেখা বন্ধ করে একবার দেখে নেবো বিষয় কি। কম্পিউটার ভিত্তিক এই প্রযুক্তির নাম টিটিএস বা টেক্সট টু স্পীচ - কৃত্রিম স্বর বা সিনথেসাইজ্ড ভয়েস প্রযুক্তির একটি অংশ। এটি থাকলে আপনাকে আর সমসময় ওয়েবসাইট, পিডিএফ বা ওয়র্ড ডকুমেন্ট পড়তে হবে না, যখন নিজের পড়তে ইচ্ছে হবে না কম্পিউটারকে বলবেন পড়ে দিতে। আমি বিশেষভাবে এর একজন ভক্ত, প্রায়ই পড়ে শোনানোর কাজ ছেড়ে দেই পিসি-র হাতে।
উন্নত বিশ্বের প্রধান ভাষাগুলোর সবই এর আওতায় চলে এসেছে - ইংরেজী, স্প্যানিশ, ফরাসি, জার্মান, ইতালিয়ান, ডাচ, রাশিয়ান, আরবী। ইংরেজীর জন্য আবার বৃটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান ও ইন্ডিয়ান উচ্চারন; স্প্যানিশের জন্য স্পেন ও ল্যাটিন আমেরিকান উচ্চারন; ফরাসির জন্য ফ্রান্স ও কানাডিয়ান উচ্চারনে টিটিএস প্রযুক্তি পাওয়া যাচ্ছে। দুঃখিত বাংলার জন্য আপাতত কোন সুসংবাদ নেই।
প্রযুক্তিটি মোটেই নুতন নয়। আনুমানিক ২০ বছর আগের কথা বলছি, চট্টগ্রামে বসে অ্যাপলের ম্যাকিনটস কম্পিউটারে প্রথম দেখলাম বা শুনলাম কম্পিউটার ভয়েস (আইবিএম কম্প্যাটিব্ল পিসি তখনো বহু পথ হাটা বাকি, উইন্ডোজই তখনো আসেনি)। তবে কথা বলার ভঙ্গি আর উচ্চারন ভয়াবহ, চারবার না শুনে বোঝার উপায় নেই কি বলছে। শোনার সাথে সাথে লিখাটাও পড়তে হবে বোঝার জন্য, অনেকটা বাজে হাতের লেখা চিঠি পায়ে হেটে গিয়ে পড়ে দিয়ে আসার মত ব্যাপার। আমি তখনো নিচু ক্লাশের ছাত্র, বিভাগের এক বড় ভাই সবে মাস্টার্সের ফলাফল হাতে পেয়েছেন, সেই ম্যাকিনটসে তাঁর চাকরির জন্য দরখাস্ত আর বায়োডাটা টাইপ হচ্ছে। ধরুন তাঁর নাম হাবিবুর রহমান (প্রকৃত নাম গোপন করলাম)। আমরা কয়েকজন মজা করার জন্য লিখলাম -
Copyright 2010 সাইদুর রহমান চৌধুরী
Theme designed by Lorelei Web Design
Blogger Templates by Blogger Template Place | supported by One-4-All
0 comments:
Post a Comment