প্রথম আলো ব্লগে প্রকাশিত ডিসেম্বর ০১, ২০০৯ 



বিদেশে বা দেশে একা একা যারা থাকেন এবং নিজের রান্না নিজেই করেন তাদের জন্য আমার ফাঁকিবাজির ঝাপি থেকে এক টুকরো রেসিপি। রন্ধনপটুদের এই পোস্ট না পড়লেও চলবে।

সংবিধিবদ্ধ নয় তবু সতর্কীকরণঃ এই খাদ্য আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে।



উপকরণঃ
১। ৪১-৫০ কাউন্টের খোসাসমেত কাঁচা চিংড়ি ৮-১০টি (খোসাছাড়ানো ও প্রিকুক্‌ড হলে আমি গ্যারান্টি দিতে পারবো না)
২। পেঁয়াজকুচি - আধা কাপ
৩। মাঝারি টম্যাটো - ১টি, ছোট কুচি করে নিন
৪। লাল, কমলা বা হলুদ পেপার (ক্যাপসিকাম) - অর্ধেক (বাকি অর্ধেক পরবর্তি ফাঁকিবাজির জন্য রেফ্রি-তে রেখে দিন পলিথিন বা জিপলক ব্যাগে বায়ুরুদ্ধ করে)
৫। কাঁচামরিচ - ১ বা ২টি ফালি করা
৬। হলুদ, মরিচ এর গুড়া - আধা চা চামচ করে (আমার নিজের জন্য মরিচ ১ চা চামচ)
৭। জিরাগুড়া - ঘ্রানের জন্য সামান্য পরিমান
৮। রসুন গুড়া, কুচি, ফ্লেক বা বাটা - এক চা চামচ
৯। লবন - আন্দাজমত (যার লবনের আন্দাজই নেই, তিনি রসুই থেকে দুরে থাকুন)
১০। চিনি এক চিমটে (তিন আঙ্গুলের হলেও ক্ষতি নেই)

প্রণালীঃ

১। ঢাকনিঅলা প্যানে তেল ঢেলে গরম করুন। উপকরণে তেলের কথা বলিনি বোধ হয়, যোগ করে নিন।
২। তেল গরম হলে মাঝারি আঁচে পেঁয়াজকুচি ভাজুন হালকা করে। বাদামী হবার আগেই হলুদ, মরিচ, জিরা, রসুন দিয়ে আরো মিনিটখানেক ভাজুন। অল্প একটু পানি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ভাজতে থাকুন মসলা কষানো হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত।
৩। চিংড়িগুলো দিয়ে আবার ভাজতে থাকুন, একটু পর উল্টে দিয়ে দুপিঠই হালকা ভাজা ভাজা করুন।
৫। টম্যাটো কুচি ও লবন দিয়ে একটু ভেজেই ১ কাপ পানি দিয়ে দু'মিনিটের জন্য ঢেকে দিন, দরকার হলে আঁচ আরো কমিয়ে দিন (এই ফাঁকে ব্লগ পড়তে যাবেন না, তাহলে রেসিপিই আপনাকে ফাঁকি দিয়ে দেবে)।
৬। ঢাকনা তুলে নাড়তে থাকুন গ্রেভী একটু ঘন হয়ে আসা পর্যন্ত। ঘন হয়ে এলে পেপার কুচি, চিনি ও কাচামরিচ দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকনা লাগিয়ে দিন। চুলা বন্ধ করে দিন, প্যান চুলাতেই থাকুক, খাবেন ১০ মিনিট পর)

ছবিঃ
(একটু আগেই আমারটা পুরো খেয়ে ফেলিছি, ছবি তোলার কথা খেয়াল ছিলো না)

বোনাসঃ
আমার রেসিপি পড়লে 'আপনি আপনি' শুনতে পাবেন, সিদ্দিকা কবীর পড়তে গেলে 'তুমি তুমি'

0 comments:

Post a Comment