আজকের দিনটি ছিলো খুবই আরামপ্রদ আবহাওয়ার। কানাডার সবচেয়ে রৌদ্রকরোজ্জ্বল বড় নগরীগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় হিসাবে ঝকঝকা রোদ উইনিপেগে নুতন কোন অভিজ্ঞতা নয়। কিন্তু আজ দিনটি অন্যরকম ছিলো তাপমাত্রার কারণে। এবছরটি উত্তর আমেরিকায় চিহ্নিত হচ্ছে অস্বাভাবিক উষ্ণ শীতকালের বছর হিসাবে। আমার শহরও তার ব্যাতিক্রম নয়, এই শীতে খুব বেশি দিন তাপমাত্রা মাইনাস ৩৫ (-৩১°F) এর নিচে নামেনি। আজ দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা প্রায় বসন্তের কাছাকাছি চলে এলো, মাইনাস ১২ (১০.৪°F), উইন্ডচিল ফ্যাক্টর সহ -১৮। প্রায় আড়াই মাস পর আমার রুমের সীল করা জানালা খুলে দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ আমার নিয়মিত হাঁটার পথটিতে। পথে কয়েকটি ছবি তুলেছি তাই দিলাম এখানে।










এপর্যন্ত ছবিগুলো সবই ওয়াকিং/বাইকিং ট্রেল ও কার্ব ধরে তোলা ▲

বরফ কয়েকরকমের আছে - পাউডার, ক্রাড, ক্রাস্ট, স্লাশ, স্লার্পি, ও আইস। স্নো-বূট পরা না থাকলে পারত পাউডার ও ক্রাস্ট স্নো মাড়াইনা, একটুখানি জুতার ভেতর ঢুকে পড়তে পারলে শরীরের তাপে গলে গিয়ে মোজা ভিজিয়ে চরম অস্বস্থিকর হয় ব্যপারটা। পাউডারের ওপর দিয়ে কিছু লোক চলাচল করে ফেলার পর পায়ের চাপে তা হয়ে যায় ক্রাড, এই ক্রাডের উপর দিয়ে হাটার মজাই আলাদা, পায়ের নিয়ে মচমচ শব্দ হয় - ভারী ভালো লাগে। সবচেয়ে বিরক্তিকর স্লাশ ও স্লার্পি, আইস তো রীতিমত ভয়ংকর।


হাঁটা ও সাইকেল চালানোর ফলে তৈরী হওয়া ক্রাড



ক্রাডের উপর দিয়ে হাটার মজাই আলাদা







উপরের ৬ টি ছবিতে ৬০ সে.মি. পুরু পাউডার স্নো-তে ঢেকে যাওয়া আঙ্গিনাগুলো


শিশুদের খেলার মাঠের একাংশ


গল্ফ কোর্সের একাংশ


না, কোন পরিত্যাক্ত বাড়ি নয়, শুধু বরফ সরাবার সময় নেই হয়তো বাসিন্দাদের!



ড্রাইভওয়ের বরফ সরাবার কষ্টকর কাজটি এদের ২-৪ দিন পর পরই করতে হয়





যাদের বরফ সরাবার সময় নেই তাদের গ্যারাজ এভাবেই বন্ধ থাকে ৫-৬ মাস

[ ছবিগুলো আমার হিসাবে ফেব্রুয়ারী ১০, বাংলাদেশের হিসাবে ১১ তারিখে তোলা, সেদিনই লেখা শুরু করেছিলাম, অন্য একটি পোস্টের জন্য সেসময় দেয়া হয়নি। তাই উপরে 'আজ' বলতে সেদিনটিই বোঝাবে। ]

পুরনো ছবি ব্লগঃ
৯. দুষ্ট তুষারঝড়ের ছবি
৮. সন্দ্বীপের ছবি - ০২
৭. সন্দ্বীপের ছবি - ০১
৬. সোনারোদ শিকারে একদিন
৫. নুতন বছরের ছবি
৪. এক ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর কিছু ছবি
৩. ফুল-পাতা হাবিজাবি
২. একই অঙ্গে এত রূপ
১. এলোমেলো ঈদের এলোমেলো ছবি

0 comments:

Post a Comment