কুয়েত পৌঁছেছি এটা দেশে জানাতে মোবাইলটা চালু করে দেখলাম, পাবো না জেনেও। নাহ, রোমিং চালু করার জন্য কোন নেটওয়ার্ক এবারও পাওয়া গেল না, অর্থাৎ নেই। তাই টার্মিনাল জুড়ে ছড়ানো ছিটানো সবকটা ফোন বুথ দেখে এলাম - সব কটাই কয়েনে চলে, কুয়েতি পয়সা। ক্রেডিটকার্ড বা ফোনকার্ডে চলে এমন কোন ফোন পেলাম না। দেশে আসবার সময়েই দেখেছি এয়ারপোর্টের ক্লিনারদের একটা বড় অংশ বাংলাদেশী। তাই দেশি চেহারার একজনকে সরাসরি বাংলাতেই জিজ্ঞাসা করে ফেললাম, আপনি বাংলাদেশীতো, না?
~ জ্বী বাংলাদেশী।
~ আচ্ছা দেশে ফোন করা যায় কি করে বলুনতো!
~ কুয়েতি পয়সা আছে?
~ না, সে জন্যইতো আপনার কাছে পরামর্শ চাইছি।
~ ডলারও নাই?
ডলারতো আছেই কিছু, কিন্ত সবই ১০০ ডলারের বিল। সামান্য কয়েক দিনারের জন্য তা ভাঙ্গানো আরেক ঝামেলা, বাকী দিনার কাজ শেষে আবার ডলারে কনভার্ট করতে হবে। বললাম, ডলার আছে, ভাঙ্গাতে চাচ্ছি না।
~ তাইলে আর কেমনে ফোন করবেন?
~ আপনারা দরকার হলে কিভাবে ফোন করেন?
~ আমাদের কাছেতো কুয়েতি টাকা থাকে, আর আমি আমার মোবাইল থেকেই করি।
তার কাছে মোবাইল আছে শুনে একটু আশান্বিত হলাম, কোন মতে একটা কল করতে পারলেই হয়। কিন্তু সে কল করতে দিবেই বা কেন? একটু ভেবে বললাম, আপনার মোবাইল থেকে একটা কল করা যাবে না? আপনার যা বিল হবে সে মত আমি আপনার দরকারী কিছু কিনে দিলাম!
~ আপনার কাছে বাংলা টাকাও নাই?
~ বাংলা টাকা কিছু আছে।
~ তাইলে আমারে প্রতি মিনিটে ১০০ বাংলা টাকা দিবেন, রাজি আছেন?
প্রতি মিনিটি ১০০ টাকা কম কী বেশি তা নিয়ে ভাবলাম না, টাকা যা আছে তা আবার দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত কোন কাজেই আসবে না। আর একটু বেশি যদি চেয়েও থাকে টাকাটা দেশেরই একটা ছেলে পাবে, এই ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। অন্তত আসার পথে লন্ডনে যে হ্যাপা করে কথা বলতে হয়েছে তার তুলনায়তো অনেক আরাম পাওয়া যাবে।
(অসমাপ্ত)
Copyright 2010 সাইদুর রহমান চৌধুরী
Theme designed by Lorelei Web Design
Blogger Templates by Blogger Template Place | supported by One-4-All
0 comments:
Post a Comment