স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সব ব্লগার বন্ধুকে জানাই আমার সালাম ও শুভেচ্ছা।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আপনাদের জন্য কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান এর লিংক দিলাম নিচে। গানগুলো আলাদা আলাদা শুনতে চাইলে বা নিজের কম্পিউটারে নামিয়ে নিতে চাইলে নিচের লিংকগুলো ব্যবহার করুন -
১. একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার
২. আমার দেশের মাটির গন্ধে
৩. আমি বাংলায় গান গাই
৪. এক নদী রক্ত পেরিয়ে
৫. একি অপরূপ রূপে মা তোর
৬. জন্ম আমার ধন্য হলো
৭. পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
অথবা-
সবগুলো গান পরপর শুনতে চাইলে নিচের প্লেলিস্টটি ব্যবহার করুন-
Powered by eSnips.com |
ইন্টারনেট শব্দের বাংলারূপ ‘আন্তর্জাল’ দেখে মাঝে মাঝেই থমকে যাই। Inter+national থেকে যেমন আন্তর্জাতিক (অন্তর+জাতি+ইক) এসেছে, ধারণা করি একই সূত্র প্রয়োগ করে Inter+Net –কে আন্তর্জাল (অন্তর+জাল) বানানো হয়েছে। যেখানে বাংলা ভাষায় এখনো কোন ব্যাকরণই রচিত হয়নি, সেখানে শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অভিধান এখনই আশা করি না; কাজেই শব্দটির ব্যুৎপত্তি কোথায় ও কিভাবে, কে করেছেন তার হদিস সন্ধান করা সহজ কাজ হবে না আগেই বুঝে নিয়েছি। গুগল দিয়ে সামান্য ঘাটাঘাটি করেও বুঝলাম ‘আন্তর্জাল’ শব্দটির ব্যুৎপত্তির ইতিহাস নিয়ে কোন সাহায্য আপাতত পাচ্ছি না।
ব্লগার সজল শর্মার সাম্প্রতিক দুটি ছবি পোস্টে তিনি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত কিছু অপূর্ব ছবি দিয়েছিলেন ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার। ভারতের পোস্টে একটি ছবি দেখে আমার মনে হয়েছিলো ছবিটি হয়তো ক্যামেরায় তোলা নয়। আজকাল CGI (Computer-generated imagery) প্রযুক্তি দিয়ে প্রায় বাস্তব দৃশ্যের মত ছবি তৈরী করা যায়, সাম্প্রতিককালের মুভিগুলোতে আমরা হরহামেশাই সিজিআই এর প্রয়োগ দেখতে পাই। শিক্ষা ও পেশাগত প্রয়োজনে ৫/৬ বছর আগে আমার পরিচয় হয়েছিলো Bryce-3D, Kashmir-3D ও Terragen নামের তিনটি Terrain Rendering software এর সাথে। এগুলো যে কোন স্থানের ডিজিটাল এলিভেশন মডেল, স্যাটেলাইট চিত্র ও আনুসাঙ্গিক আবহাওয়াগত প্যারামিটারগুলো থেকে প্রায় বাস্তব দৃশ্যের মত ছবি তৈরী করতে সক্ষম। টেকনিক্যালি একে আমার ফিল্ডে আমরা বলি সিনথেটিক টেরেইন। Terragen দিয়ে তৈরী কয়েকটি সিনথেটিক (কৃত্রিম) ছবি দেখুন (নেট থেকে নেয়া)। সময় পেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি এলাকার আমার করা কয়েকটি ছবি ভবিষ্যতে শেয়ার করার ইচ্ছা আছে।
স্থাণুবৎ প্রস্তরসম
দেবী মূক ও মূঢ়
অপলক অবিচল
দুর্ভেদ ও গূঢ়।
আলতো করে ছুঁয়ে দিলেই
পাথর গলে জল,
এই যদিবা কঠোর হলে
পরেই টলমল।
মন ভর্তি পেপসিকোলার চেপে রাখা গ্যাস
নাড়া খেতেই অজগরের মত পাক দিয়ে ওঠে
একটি পলক দেখতে হবে তোমাকে।
দেখা পেতেই 'ফস্স্' করে ছিটকে পড়ে ছিপি
নিউরনে নিউরনে বুদ্বুদের মিলিবার প্রেসার
এবার তোমার নজরে পড়তেই হবে।
নজরে পড়তেই রক্তের পেপসি ফেনিয়ে ওঠে
শরীরের খাঁচা ছাপিয়ে গড়িয়ে পড়ে ফেনীল মন
কথা বলা চাই, কথা বলা চাই।
আমি মুখ খুলতেই গলার ভেতর একরাশ অ্যাসিড
মুখ খুলতেই কন্ঠ থেকে শ্বাসনালী হয়ে বিষম।
দম আটকে আসে - কি বলি, কি বলি?
তুমি কথা বলতেই ফাটতে থাকে অযুত নিযুত বুদ্বুদ
কথা হয়ে যায় সরসর শব্দ, কথা হয়ে যায় কলকল
তাতে চাপা পড়ে পৃথিবীর আর সব কলরব।
তারপর,
একদিন আমরা পেপসির অম্লে দ্রবিভুত হই,
ক্ষয় হই, বুদ্বুদহীন নিথর কালো পানি হই।
তুমিও, আমিও।
---
*মিলিবার = millibar
২০০৮ এর বেইজিং অলিম্পিকের থীম সিঙ্গার সারাহ ব্রাইটম্যানকে আগেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছি টাইম টু সে গুডবাই পোস্টে, বিশ্বের এক নম্বর (বেস্ট সেলিং) সপ্র্যানো হিসাবে তাকে নিয়ে আরো একটি পোস্ট তৈরী করলে বেশি করা হবে মনে করিনি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সারাহ-র সবচেয়ে সফল অ্যালবাম সিম্ফনী। ৫ বছর কাজ করার পর ২০০৮ এ অ্যালবামটি যখন বাজারে আসে সাথে সাথেই তা সারা বিশ্বে সেরা দশে স্থান করে নেয়, জাপান ও কানাডায় সেরা পাঁচে, ল্যাটিন আমেরিকার কোথাও কোথাও সর্বসেরার স্থান।
অ্যালবামটি করা হয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার ৮৫০ বছরের পুরনো স্টেফান্সডর্ম ক্যাথিড্রালের (বিশপ নিয়ন্ত্রিত প্রধান গির্জা) অভ্যন্তরে একটি কনসার্টের আকারে। স্থাপত্যশৈলীতে ক্যাথিড্রালটি যেমন বিশ্বের সেরাগুলোর একটি, তেমনি সঙ্গীতের ক্ষেত্রেও এর অবস্থানকে বিশ্বসেরা বলাই চলে, এখানে সঙ্গীত সাধনা করেছেন বেথোফেন, মোজার্ট এবং হাইডেনের মত বিশ্বের অন্যতম সেরা সঙ্গীতজ্ঞরা।
অ্যালবামটির অসম্ভব জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারন গানগুলোর লিরিক এবং সারাহ ও তাঁর সহশিল্পীদের অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠ। অ্যালবামটিতে স্থান পেয়েছে ১২টি সঙ্গীত ও কয়েকটি বোনাস ট্র্যাক। তারই কয়েকটি এখানে শেয়ার করলাম-
DVD থেকে কয়েকটি স্ক্রীনশট
১. সিম্ফনী (টাইটেল সং) ----------------------------------
২. সারাই কুই (ইতালিয়) (sarai qui = you quit) ----------
৩. আই উইল বি উইদ ইউ ---------------------------------
৪. লা পাসিও (স্প্যানিশ) (la pasión = Passion) ----------
থাইল্যান্ডের কথা ঘুরে ফিরেই চলে আসে, হয়তো জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়গুলোর একটি সেখানেই কাটিয়েছি বলে। পড়ছিলাম এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজী বা AIT তে। আমরা তখন সামার সহ আড়াই সেমিস্টার শেষ করে ৩য় সেমিস্টারে পা রেখেছি যখন আমাদের পরের ব্যাচ সেখানে পৌঁছালো। নিয়ম আছে নুতন ব্যাচ আসলেই একটি ওয়েলকাম ডিনার, একটি ওয়েলকাম প্লেজার ট্রিপ আর কোর্স শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই একটি কালচারাল অনুষ্ঠান হবার, নাম ওয়েলকাম শো। AIT-র প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সব কিছুই এখানে দেশভিত্তিক আয়োজন করা হয়। কাজেই ওয়েলকাম শো-তে বাংলাদেশের পার্ফর্মেন্সের জন্য ঠিক করা হলো একটি হাস্যরসাত্মক নাটিকা, দু'চার জন মিলে একটি স্ক্রিপ্টও দাঁড় করিয়ে ফেললেন। যথারীতি আমাকে দেয়া হলো টাইটেল অ্যানিমেশন তৈরীর কাজ। ৫৩ সেকেন্ড স্থায়ী একটি অ্যানিমেশন তৈরী করেছিলাম, ভিডিওটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
যাঁরা গতি বা অন্য কোন কারনে ইউটিউব ভিডিওটি দেখতে পারছেন না, তাদের জন্য কয়েকটি ফ্রেমের স্ন্যাপ দিলাম।
সবশেষে রিহার্সাল চলাকালীন কিছু মুহুর্ত-
মাছের ফিলে ভাজি
উপকরণঃ
১. চর্বিহীন যে কোন সাদা মাছ, যেমন তেলাপিয়া বা সোলের (কুকুরের জিহ্বা) ফিলে (fillet) - ২০০ গ্রাম
২. সয়াবিন বা যে কোন হালকা উদ্ভিজ্জ তেল – পরিমানমত (কতটুকুতে পরিমানমত হয়, তার উল্লেখ পরে আছে)
৩. লেবুর রস (এক-দেড় টেবিল চামচ, লেবু না থাকলে সাদা ভিনেগার)
৪. হলুদের গুড়া - সামান্য পরিমান
৫. মরিচের গুড়া - ঝালের আন্দাজ বুঝে
৬. আদার রস, রসুনের রস – দুটো মিলে এক/দেড় টেবিল চামচ (রস বের করতে না পারলে পেস্ট বা পাউডার অর্ধেক লেবুর রসে মিশিয়ে নিন)
৭. লবন – আন্দাজমত (আগের পোস্টেই বলেছি, লবনের আন্দাজ না থাকলে রান্না করতে যাবেন না)
Copyright 2010 সাইদুর রহমান চৌধুরী
Theme designed by Lorelei Web Design
Blogger Templates by Blogger Template Place | supported by One-4-All