গতকাল এ বিষয়ক একটি লেখা দিয়েছিলাম, কোরবানীর বিভৎসতা(?) ও পশ্চিমা সমাজের পশুপ্রেম। আরো কিছু তথ্য ও ছবি সংযুক্তির ইচ্ছা থাকলেও লেখাটির কলেবর ছোট রাখার জন্য তা আর দেইনি। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে গতকালের লেখাটি বিপুল সংখ্যক পাঠককে আকৃষ্ট করেছে। হিট কাউন্টারের তথ্য অনুযায়ী লেখাটির ইউনিক ভিজিটর সংখ্যা আমার অন্য যে কোন লেখার প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে, যাঁদের অনেকেই হয়তো কেবলই পাঠক। যাঁরা ব্লগার তাঁদেরও অনেকেই মন্তব্য লিখে আমাকে উৎসাহিত করেছেন। তাই আমার মনে হোল যে অংশটুকু গতকালের লেখা থেকে ছেঁটে ফেলেছিলাম, নুতন একটি পোস্টের আকারে তা দিয়ে দিলে বিপুল সংখ্যক পাঠকের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতাটুকু ঠিকঠাক প্রকাশ পাবে।

... ... ...
সমুদ্রের সবচেয়ে নিরীহ, মায়াবী ও বুদ্ধিমান দুটি প্রাণী সীল এবং ডলফিন। এরা উভয়েই সমুদ্রে কেউ বিপদগ্রস্থ হলে তাকে সাহায্য করেছে বলে বহু গল্প প্রচলিত আছে। সমুদ্রে বসবাস করলেও এরা মাছ নয়, স্তন্যপায়ী, মানুষের মত না হলেও গরু ছাগল ভেড়ার চাইতে এদের বুদ্ধিমত্তা কম নয়। শারীরিক সুখ ও কষ্টের অনুভূতি ছাড়াও যে এদের উঁচু পর্যায়ের মানসিক অনুভূতি আছে, দুঃখ এবং ভালোবাসার বোধ আছে, তা প্রমাণিত হয়েছে বহু পরীক্ষায়। আর এই দুটি প্রাণীকে নির্মমভাবে যন্ত্রনাদায়ক পদ্ধতিতে হত্যা করার উৎসব হয় পৃথিবীর অতি উন্নত দুটি দেশে - কানাডায় সীল এবং জাপানে ডলফিন।কানাডায় প্রতিবছর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় সীল শিকার মৌসুম। কোন না কোন মন্ত্রী গিয়ে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে দিয়ে আসেন। গতবছর খোদ রাণীর প্রতিনিধি কানাডার গভর্নর জেনারেল গিয়ে তখনো ধুকপুক করতে থাকা কাঁচা হৃদপিন্ড খেয়ে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করে দিয়ে এসেছেন। বিশ্বাস করুন টিভিতে দেখেছি! ভাবছেন, এরকম একটি পৈশাচিক অনুষ্ঠান আফ্রিকার কোন আদিবাসী সমাজে হলে মেনে নেয়া যেত, তাই বলে কানাডায়?

এবার শুনুন কি করে সীলদের মারা হয়। খোলা তরবারী হাতে কোন হুজুর সেখানে জবাইয়ের জন্য ছোটাছোটি করেন না ঠিকই, লোহার পেরেক লাগানো দন্ড নিয়ে সুবেশী কানাডিয়ানরা দৌড়ঝাপ একেবারে কমও করেন না। অসহায় সীলেদের প্রতিটির মাথায় পেরেক দিয়ে এক বা দুইবার আঘাত করে তাকে আধমরা করা হয়, এবং অনেক ক্ষেত্রেই সীলেরা মারা যাবার আগেই তাদের চামড়া ছাড়ানো হয়, বুক কেটে হৃদপিন্ড বের করে আনা হয়। প্রতিবছর এরকম তিন থেকে পাচ লাখ সীল মারা হয় এখানে। আর হত্যাকান্ডের সবচেয়ে বড় আকর্ষন শিশু সীলেরা।

কি মনে হল, কোরবানী কি খুবই নৃশংস একটি পদ্ধতি? ছবিগুলো দেখুন। জাপানের তিমি ও ডলফিন হত্যাযজ্ঞ নিয়ে আরেকদিন।


একটি শিশু সীল


মন্তব্য নিঃষ্প্রয়োজন


মন্তব্য নিঃষ্প্রয়োজন


মন্তব্য নিঃষ্প্রয়োজন


মন্তব্য নিঃষ্প্রয়োজন

ভিডিওটি দেখুন
http://www.youtube.com/watch?v=l6Sroq7PraE

0 comments:

Post a Comment