হোটেল দ্য গ্লেস

Written by Sayedur R Chowdhury 0 comments Posted in:

আমার এখানে শীতকাল বোধহয় অবশেষে চলেই গেল। এবছর বসন্ত অন্তত একমাস আগেই চলে এলো। এই শহরের মানুষের কাছে শীত একটা গর্বের বিষয়, যত কষ্টই হোক ঠান্ডা যত বাড়ে, গর্বে তাদের বুকটা ততই ফুলে ওঠে। থাকছি বলেই কিনা কে জানে, আমারও এখানকার শীতের প্রতি একটা মায়া পড়ে গিয়েছে। শীতটা চলে যাওয়ায়, বরফহীন রাস্তাঘাটের দিকে তাকিয়ে কেমন খালি খালি লাগছে। তাই নেটে বসে হরেক রকম বরফের ছবি দেখছিলাম, তখনই হঠাৎ এই বরফের হোটেলটির ছবি দেখেই মনে হলো ব্লগে শেয়ার করা যায়। এর কথা শুনেছি অনেক, নিজের চোখে এখনো দেখা হয়নি।

Read more

এক ফোঁটা জল

Written by Sayedur R Chowdhury 0 comments Posted in:

এক ফোঁটা জল কতই তরল
সিক্ত করে?
এক ফোঁটা জল কতই গরল
রিক্ত করে?

এক ফোঁটা জল কতই ধবল
শুদ্ধ করে?
এক ফোঁটা জল কতই সবল
যুদ্ধ করে?

এক ফোঁটা জল কতই চপল
নৃত্য হয়ে,
এক ফোঁটা জল কতই সফল
চিত্ত জয়ে?

এক ফোটা জল শুধুই কেবল
ধুঁকতে পারে।
এক ফোঁটা জল ভীষণ অনল
রুখতে পারে?

এক ফোঁটা জল কতই মনের কথা শোনে?
এক ফোঁটা জল শুধুই কি জল চোখের কোণে?

Read more

আমি তখন এআইটি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, কাজেই নিজের বিয়েবার্ষিকী বা নুতন বছরের মজা করার চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে অনুষ্ঠান আয়োজন। মনে মনে অনুষ্ঠানের একটা ছক কষে নিয়ে বসলাম আমার পরিষদের অন্য চারজনের সাথে। ট্রেজারার সিরাজের সাফ কথা - "সাইদ ভাই, আপনি অনুষ্ঠান ছোট করেন, অত টাকা আমি দিতে পারবোনা"। বললাম - "কী হয় ভাই, ছাড়ো না আরো হাজার পাঁচেক!" ওর এক কথা - "বছরের আর অনুষ্ঠানগুলো করার ইচ্ছে নেই আপনার? সেগুলো কী দিয়ে করবেন? হয় অনুষ্ঠান ছোট করেন, নয়তো নিজেই টাকা জোগাড় করেন।" অগত্যা ব্যাংককের বাংলাদেশ অ্যাসেসিয়েশনের প্রেসিডেন্টকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসাবে দাওয়াত দিলাম দশ হাজার বাথ নজরানা নিয়ে। অনুষ্ঠানও ছোট করিনি, সিরাজের ট্যাঁকেও খামচি দিতে হয়নি। সারাদিনের অনেক অনুষ্ঠানের পরে রাতের শেষ অনুষ্ঠানের কিছু ছবি-

Read more

আমাদের এক বান্ধবীর শিশুকণ্যা নেহেরীন মায়ের ফেসবুকে নিজের লেখা নিচের কবিতাটি পোস্ট করেছিলো তেরো ঘন্টা আগে -

I Hate Boys
----
I hate boys --
They make a lot of noise
Even the ones in my class
Play with toys.

They tease the girls,
And make us cry.
Most of the times they lie --
Can someone tell me why?

Read more

মেয়েটি বললো, “কী, এবার অন্য কিছু ভাবো! দুই বছরতো পার হলো চাকুরি করছো!” ছেলেটিরও কোন ইচ্ছেই ছিলো না বিনা কারনে দেরী করার। এমন যদি হতো যে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করলে আহামরি কোন প্রতিষ্ঠা এসে যাবে তাও না হয় কথা ছিলো। গতানুগতিক পেশা, পতানুগতিকই উন্নতি হবে, অতএব শুভস্য শীঘ্রম।

যথাসময়ে মুরুব্বিরা পয়গাম নিয়ে গেলেন মেয়েটির বাড়ি। কোন ঝামেলা ছাড়াই আশির্বাদ করে এলেন মেয়েটিকে। বিয়ের দিন ধার্য হলো ১৪ই এপ্রিল। হাতে সময়ও বেশি নেই, প্রস্তুতি চলছে সাধ্যের মধ্যে জোরেসোরেই। ছেলেটির ভগ্নিপতিদের মধ্যে সবার ছোটজন হঠাৎ বেঁকে বসলেন বিয়ের তারিখ নিয়ে – “আরে ১৪ই এপ্রিলতো পয়লা বৈশাখ, পয়লা বৈশাখে আবার মানুষ বিয়ে করে নাকি?” আসল কথা হলো তিনি ব্যাবসায়ী মানুষ, ঢাকায় তাঁর ব্যাবসায়ী বন্ধুদের সাথে সেদিন অনেক পরিকল্পনা, সেসব বাদ দিয়ে বিয়েতে উপস্থিত থেকে দিনটি মাটি করতে চান না।

Read more



ফ্লোরেট ফ্রাইটার্স (Floret Fritters)

উপকরণ:

১। ফুলকপি বা ব্রকোলি - ২০০ গ্রাম
২। ময়দা - এককাপ
৩। হলুদ, মরিচ ও জিরার গুড়া - আধা চা চামচ করে
৪। লবন - স্বাদমত
৫। আজিনোমতো (মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট) - এক চিমটে (ঐচ্ছিক ও বর্জনীয়)
৬। হালকা উদ্ভিজ্জ তেল - প্রয়োজনমত

Read more

এর আগে আগে ফটোশপে ডিজিটাল জাতীয় পতাকা-য় দেখিয়েছিলাম কি করে সঠিক মাপের ও রংয়ের একটি জাতীয় পতাকা তৈরী করা যায় ফটোশপে। তারপর হাওয়ায় দোলা পতাকা বানান ফটোশপে পোস্টে দেখিয়েছি কিভাবে তাকে হাওয়ায় দোলা একটি পতাকায় রূপ দেয়া যায়।

আজকের পোস্টে দেখাবো কী করে রিয়েলিস্টিক বা বাস্তব দেখতে হাওয়ায় দোলানো পতাকা বানানো যায়।



১। ফটোশপে ডিজিটাল জাতীয় পতাকা-য় তৈরী করা ফাইলটি খুলুন। ফাইলটির টাইট্‌ল বারে রাইট মাউজ বাটন চেপে যে মেনুটি পাবেন তা থেকে Duplicate সিলেক্ট করে ফাইলটির একটি ২য় কপি তৈরী করুন।

Read more

পুরনো পর্বঃ
শক্‌ড অ্যাব্রোড - ০১ | শক্‌ড অ্যাব্রোড - ০২ | শক্‌ড অ্যাব্রোড - ০৩

প্রথম পর্বের ভুমিকাঃ

জুন ১৯৯৪। জীবনের প্রথম দেশের বাইরে ভ্রমন। বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটোই অনেক কম। এখনকার মত চাইলেই দেশ-বিদেশের হাল হাকিকত জানা অত সহজ ছিলো না। যদিও আমার ইন্টারনেট ছিলো, কিন্তু তার জন্য আমাকে প্রথম দিকে হংকং, পরে ঢাকার আইএসপি-কে ডায়াল করতে হোত প্রতি মিনিট যদ্দুর মনে পড়ে যথাক্রমে ৬৫ ও ৪০ টাকা ফোনের বিল খরচ করে। তাই ই-মেল ছাড়া অন্য কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রশ্নই ওঠে না। সে রকম একটি সময়ে বিদেশ যাওয়া মানেই অনেকগুলো ধাক্কা খাওয়ার মত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হওয়া। তারই কয়েকটি সংক্ষেপে বলি।

এ পর্বের ভুমিকাঃ

দেশের বাইরে ভদ্রতা, সভ্যতা, নিয়মানুবর্তিতা এসব ভালো ভালো জিনিস দেখে আমার এই শক পাওয়া আর তার বিবরন তুলে ধরতে যে নিজেরও ভালো লাগছিলো তা নয়। কিন্তু যা সত্যি শুধু দেশপ্রেমের দোহাই দিয়ে তাকে অস্বীকারই বা করি কি করে? তারপরও নিজের দেশকে ছোট দেখাতে ভালো লাগেনা। তাই স্মৃতির গহীন হাতড়ে বের করতে চাইলাম কোন কোন ঘটনায় আহত হয়েছি বিদেশীদের মন্দরূপ দেখতে পেয়ে। জানি তেমন বেশি ঘটেনি আমার অভিজ্ঞতায়, তবু খুঁজে পেলাম কয়েকটি।

Read more

আমার ছেলে ও মেয়ের গত দশ/বারো বছর ধরে তোলা ছবিগুলোর একাংশ থেকে শুধু মুখগুলো নিয়ে একটি করে মোজাইক বানিয়েছিলাম। বীর বাহাদুর বলবল সিং-এর অনুরোধ পেয়ে সে মোজাইকগুলোই ব্লগের জন্য কেটে ছয় টুকরো করে এখানে দিলাম।

উল্লেখ্য, এই ছবিগুলো ডিজিটাল ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, ফিল্ম এসএলআর, ফিল্ম পিএনএস, ওয়েবক্যাম, মোবাইল ফোন সম্ভাব্য সব রকমের চিত্রগ্রহন যন্ত্র দিয়ে তোলা; এবং প্রস্তুত-অপ্রস্তুত, আলো-অন্ধকার, কাছে-দূরে, একক-গ্রুপ, ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক, উৎফুল্ল-বিষন্ন, প্রশান্ত-চঞ্চল, ক্লান্ত-অক্লান্ত, প্রসন্ন-ক্ষুদ্ধ, সপ্রতিভ-লজ্জিত সব ধরণের পরিস্থিতিকে কমবেশি প্রতিফলিত করে।

কোন কোন ছবি মোজাইকে একাধিকবারও এসেছে, এবং ভুলবশত প্রতি সেট মোজাইকে কমপক্ষে দুটি করে অন্য শিশুর ছবি ঢুকে পড়েছে। ১-৬ ও ৭-১২ মিলে দুটি সেট। 'নেই কাজ তো খই ভাজ' অবস্থায় থাকলে দেখুনতো বের করতে পারেন কিনা কোন মুখগুলো অন্য শিশুদের।




Read more